কেরানীগঞ্জের পশুর হাটে এবার ভিন্ন চিত্র, দরপত্রে নতুন ধারা

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ উপজেলায় বসছে অস্থায়ী ১১টি গবাদিপশুর হাট। দীর্ঘদিন পর এবার উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এসব হাটের ইজারা দেওয়া হয়, যা স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া জানান, ঘোষিত ১১টি হাটের মধ্যে ৮টির ইজারা চূড়ান্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকায়। বাকি ৩টি (মোল্লা বাজারস্থ খালি মাঠ, মোল্লা বাজার পশুর হাট, বাঘাশুর মাদ্রাসার পাশে অবস্থিত খালি মাঠ) হাটে কোনো সিডিউল জমা না পড়ায় জেলা প্রশাসকের সিন্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উন্মুক্ত দরপত্র কার্যক্রম শুরু হওয়ার খবরে সকাল থেকেই উপজেলা কার্যালয়ে ভিড় করেন স্থানীয় বিএনপি ও এনসিপি নেতাকর্মীসহ উৎসুক জনতা।
চূড়ান্ত হওয়া হাটগুলোর ইজারাপ্রাপ্তরা হলেন:
খাড়াকান্দি বাজার সংলগ্ন বালুর মাঠ – আবু দাউদ সিকদার (২ লাখ টাকা)
নতুন সোনাকান্দা পশু হাট – শাহাবুদ্দিন মেম্বার (৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা)
মিলেনিয়াম সিটি সংলগ্ন বালুর মাঠ – রাব্বি আহমেদ বকুল (৭১ লাখ ২৪ হাজার টাকা)
রাজাবাড়ি সংলগ্ন পতিত জমি – জাহাঙ্গীর কবির (৩০ হাজার টাকা)
রসুলপুর বালুর মাঠ – ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম (৪ লাখ ২০ হাজার টাকা)
হাসনাবাদ বালু মাঠ – সেলিম মেম্বার (৬১ লাখ টাকা)
আগানগর খেলার মাঠ – আরসাদ রহমান সপু (১ কোটি ৭০ লাখ টাকা)
জিনজিরা পশু হাট – মোসাদ্দেক আলী বাবু (১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা)
তবে খাড়াকান্দি বাজার সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং রাজাবাড়ি সংলগ্ন পতিত জমি পশুর হাটের ইজারা সম্ভাব্য সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তাছাড়া, নিলামের সবচেয়ে বড় চমক ছিলো এনসিপি ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নেতাদের মিলেনিয়াম সিটি বালুর মাঠ হাট প্রাপ্তি। পাশাপাশি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের আহবায়ক মাসুদ আলম স্বাধীন ৯ লাখ টাকা বেশি ডেকেও ইজারার শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার আবেদনটি না মঞ্জুর হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন, হাটগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভেটেরিনারি টিম ও মনিটরিং কমিটি কাজ করবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকবে কঠোর নজরদারি।