পলাশবাড়ীতে হামলা ভাংচুর,থানায় মামলা যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক-৩

বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে দোকান ও ঘরবাড়ীতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কবুতর থাকার ঘরও।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ জুন (রোববার)সকাল ৭ টার দিকে পলাশবাড়ী পৌরশহরের ছোট শিমুলতলা গ্রামে।
এ ব্যাপারে জোসনা বেগম নামে একজন বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। দায়েরকৃত মামলা সুত্র ও সরেজমিনে জানা যায়,জোসনা বেগমের স্বামী পৌর শহরের ছোট শিমুলতলা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আলমগীর,আসাদুল ও আলামিনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পূর্বের শত্রুতা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ ও মনোমালিন্য চলে আসছিল।
২৯ জুন রোববার সকালে আলমগীর ও তার অনুসারিরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ বাহিরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে জাহিদুলের দোকান ও বাড়ীতে হামলা করে দোকানসহ বাড়ী ভেঙ্গে চুরমার করে। এ সময় জাহিদুল ও তার স্ত্রী জোসনা বেগম বাধা নিষেধ করলে তাদের মারপিট করে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, টিভি,ফ্রিজ,স্বর্নের চেইন,হাঁস,কবুতরসহ আনুমানিক ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মুল্যের জিনিসপত্রসহ জাহিদুলের ছেলের শয়ন ঘর থেকে তার স্ত্রীর স্বর্ণের কানের দুল,হাতের চুরি নিয়ে যায় এবং ঘরবাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
জোসনা বেগম তাৎক্ষণিক পলাশবাড়ী থানা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের খবর দিলে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আলমগীরসহ অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও সাদুল্লাপুর উপজেলার ছোট সাতোরা গ্রামের বাবলু প্রমানিকের ছেলে ময়নুল ইসলাম,পলাশবাড়ী উপজেলার কিসামত চেরেঙ্গা গ্রামের মৃত জুয়েল রানার ছেলে জোবায়ের রহমান ও একই গ্রামের কালাম মিয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জোসনা ও তার পরিবারের লোকজন জানান,দীর্ঘদিন থেকেই আলমগীর ও তার লোকজন আমাদের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে আসছিল।সকালে বাহির থেকে লোকজন নিয়ে এসে যেভাবে হামলা,ভাংচুর,লুটপাট করেছে এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্রো জানান,এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে,অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।