আশ্বাসের ফাঁদে আটকে নোবিপ্রবির একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া

মোঃ তৌফিকুল ইসলাম
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একমাত্র কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা আশ্বাস সত্ত্বেও এখনো চালু হয়নি খাবার পরিবেশনের এই প্রধান কেন্দ্র। তাই ভালো খাবাররের আশায় বাড়তি দাম দিয়েই বাহিরের টং দোকানগুলোতে খাবার খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, গত ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে পর্যাপ্ত দেখভাল, মান উন্নয়ন এবং ভর্তুকির অভাবে ক্যাফেটেরিয়াটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তখন বলা হয়েছিল, দুই মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়াটি উপযুক্ত করে চালু করা হবে। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ জানিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ শামীম বলেন, “ক্যাম্পাসে ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকা কতটা যৌক্তিক? অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকালে নোবিপ্রবির ক্যাফেটেরিয়ার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দায়। গত চার-পাঁচ মাস ধরে এটি সম্পূর্ণ বন্ধ। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থাও প্রশাসনের মৌলিক দায়িত্ব।”
ক্যাফেটেরিয়া খোলা ও মান উন্নয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, “আমরা ১১ লাখ টাকার বাজেটে টেন্ডার করেছিলাম। প্রথমে একজন আবেদন করলেও তিনি যোগ্য ছিলেন না। গত মাসে আবার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এবার কয়েকজন আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্যে যে যোগ্য হবেন, তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। সরকারি নিয়মে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে। আশা করি এক মাসের মধ্যে ক্যাফেটেরিয়া চালু করতে পারব।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “প্রথম টেন্ডারে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় টেন্ডারে চারজন অংশ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্য থেকে বাছাই চলছে। ওয়ার্ক অর্ডারের পরই কাজ শুরু হবে। আশা করি ৩০ কর্মদিবসের মধ্যেই ক্যাফেটেরিয়া চালু হবে।”
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্যাফেটেরিয়া চালুর দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ও পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করাও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মৌলিক দায়িত্ব। তাই আর কোনো বিলম্ব না করে ক্যাফেটেরিয়াটি চালু করা এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।