গাছ কাটায় ইবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী কার্টুন প্রদর্শনী

মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অজুহাতে ক্যাম্পাসের গাছ কাটায় প্রতিবাদী কার্টুন প্রদর্শনী করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
এসময় গাছ কাটার অযুহাতের তালিকায় “গাছ হত্যাকারীর ঠাঁই নাই”, “গাছ কাটা মানে জীবন কাটা”, “গাছ মানুষকে বাঁচায়, মানুষ গাছ মারে”, “১,২,৩,৪ হত্যা করে টেবিল চেয়ার”, “পৃথিবী মারতে চলেন গাছ কাটি”, “সবুজ হত্যা মানে ভবিষ্যত হত্যা”, “ফুসফুসের দাম ৩০,০০০ টাকা মাত্র”, “শ্বাস নিতে কি ভুলেন আপনারা?” ইত্যাদি লেখা দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ইসতিয়াক আহমেদ ইমন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার শুধু গাছের দিকেই আক্রমণ করছে। আধুনিকতার এই যুগে এসেও কেন এত গাছ কাটা হচ্ছে? গতকাল লালন শাহ হলের পাশে দুটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, গাছ কাটার উদ্দেশ্য ছিল আসবাবপত্র তৈরি করা। অন্যদিকে হল প্রভোস্ট বলেছেন, গাছটি হলের দিকে ঝুঁকে গিয়েছিল এবং ভবনের জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়, শুধুমাত্র ঝুঁকে যাওয়ার কারণে একটি জীবন্ত গাছ এভাবে কাটা ঠিক হয়নি, কারণ গাছটি ভবন থেকে যথেষ্ট দূরে ছিল।
আমি প্রশাসনের কাছে প্রতিবাদলিপি জমা দিয়েছি। হল প্রভোস্ট, এস্টেট অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় আমি কথা বলেছি। কিন্তু সবার কাছ থেকে একটাই উত্তর পেয়েছি—“কারণ ছিল”। অথচ আসলেই কতটা যৌক্তিক কারণ ছিল, সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোনো গাছ যেন না কাটা হয়। প্রশাসনের উচিত বিকল্প চিন্তাভাবনা করা। যদি কাঠের প্রয়োজন হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে। এতে করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ রক্ষা পাবে। আর যদি ক্যাম্পাসের গাছ কাটা একান্তই প্রয়োজন হয়, তবে এর বিপরীতে বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে হবে এবং গাছ কাটার আগে কারণগুলো স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। তাহলেই সবার মধ্যে সমঝোতা তৈরি হবে।”
এবিষয়ে লালন শাহ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গাজী আরিফুজ্জামান খান বলেন, “হলের পাশে কয়েকটি গাছের মাথা ছিল না তাই বৃদ্ধি থেমে গিয়েছিল এবং বাঁকা অবস্থায় ছিল। আবার এই গাছগুলোর জন্য হলের ড্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। যদিও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কাটা হয়েছে তবে তিনটি গাছের জায়গায় আরও আটটি গাছ লাগানো হবে।”