ঝিনাইদহে আওয়ামী রাজনীতি থেকে ইসলামী আন্দোলনে আলম বিশ্বাস

মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার,
ঝিনাইদহের রাজনীতিতে ফের এক ‘রঙ বদলের’ নজির। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলালের ছোট ভাই ও মৎস্যজীবী লীগের নেতা নুরে আলম বিশ্বাস ওরফে আলম বিশ্বাস এবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে যোগ দিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে। তার এই অবস্থান পরিবর্তন ঘিরে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
সূত্র জানায়, আলম বিশ্বাস দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মৎস্যজীবী লীগের হয়ে শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও ইচ্ছে ছিল তার। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সে আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি। আর এখন তিনি ইসলামপন্থী রাজনীতির পরিচিত মুখ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি ঝিনাইদহ শহরের মডার্ণ মোড়স্থ এক অফিসে ইসলামী আন্দোলনের এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন আলম বিশ্বাস। পরবর্তীতে তাকে ইসলামী আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার উপদেষ্টা পদে মনোনীত করা হয় এবং তিনি শপথও গ্রহণ করেন।
এই হঠাৎ রূপান্তর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। কেউ বলছেন, “ধর্মের নাম ব্যবহার করে সুবিধা নেওয়ার পুরোনো নাটকেরই নতুন দৃশ্য এটি।”
জেলা আওয়ামী লীগের এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতা বলেন,
“ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কায় অনেকেই এখন ধর্মকে ঢাল বানিয়ে নিজের চেহারা বদলাচ্ছেন। দলের দুঃসময়ে এমন সুবিধাবাদীরা ধর্মের পোশাক পরে আবারও সুবিধা আদায় করতে চায়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও একে ‘গণতন্ত্র ও আদর্শিক রাজনীতির জন্য ভয়ঙ্কর সংকেত’ হিসেবে দেখছেন। একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকার বলেন,
“ফ্যাসিস্ট বা সুবিধাবাদী মানসিকতা নিয়ে কেউ যদি ইসলামী রাজনীতিতে প্রবেশ করে, তাহলে সেটা ইসলামী আন্দোলনের আদর্শেও আঘাত হানে।”
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে আলম বিশ্বাস বলেন,
আমি সব সময়ই মসজিদ-মাদ্রাসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। সেই জায়গা থেকেই ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। আগে মৎস্যজীবী লীগ করেছিলাম উপজেলা নির্বাচনে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি ডা. এইচ এম মোমতাজুল করীম বলেন,
তিনি চরমোনাই গিয়ে নায়েবে আমীরের কাছে সদস্য ফরম পূরণ করে এসেছেন। পরে আমরা তাকে দলে গ্রহণ করি। আমরা তাকে দাওয়াত দিইনি। পীর সাহেবের সিদ্ধান্তে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তিনি।