আশুলিয়ার পাথালিয়ায় গ্যাস অফিসের পরিচয়ে রাতের আঁধারে অবৈধ সংযোগের অভিযোগ ঠিকাদার মেহেদীর বিরুদ্ধে

ফরহাদ হোসেন
আশুলিয়ার পাথালিয়া এলাকায় রাতের আঁধারে গ্যাস অফিসের পরিচয়ে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছিলেন দুজন ব্যক্তি। বুধবার রাত সাড়ে এগারোটায় পাথালিয়ারা আমবাগান বাজার সংলগ্ন রাস্তায় পাশে একটি বাড়িতে দুজন ব্যক্তি গ্যাসের রাইজার সংযোগ দিচ্ছিলেন। সন্দেহজনক ভাবে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা গ্যাস অফিসের লোক বলে পরিচয় দেন। পরে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে “ঠিকাদার মেহেদীর” নাম।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেহেদীর বাসা পাথালিয়ার গোকুলনগরে।মেহেদী গ্যাসের ঠিকাদার হওয়ায় গ্যাস অফিসের পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়া ও পাথালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছেন। আরো জানা যায়, তিনি কৌশলে কখনো নিজেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়ে পরে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আবার তা পুনরায় সংযোগ স্থাপন করতেন। তার এই অনিয়মের ফলে এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মেহেদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গ্যাস বিল বকেয়া থাকার কারণে তাদের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল এখন বিল পরিশোধ করাতে সংযোগ দিচ্ছি। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে গ্যাস সংযোগ দেয়ার এখতিয়ার কি আপনার আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদ উত্তর দিতে পারেনি। তাকে ঘটনা স্থলে ডাকা হলে তিনি বলেন ঠিক আছে তাহলে রাইজার এখন খুলে রাখছি। এখন রাত হয়ে গেছে আমি সকালে আপনার সাথে যোগাযোগ করছি বলে আমাদেরকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।
বাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বকেয়া বিলের কারণে ২০১৯ সালে আমাদের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর থেকে ঠিকাদার মেহেদী আমাকে একাধিকবার কল করে বলেন আপনাদের লাইনটা আমি সংযোগ দিয়ে দেই, কিন্তু আমি যেহেতু ঢাকাতে থাকি তাই এতটা গুরুত্ব দেইনি।তবে এখন আমি মেহেদীর সাথে যোগাযোগ করিনি সম্ভবত আমার বাড়ির যে ভাড়াটিয়া আছে সেই কাজটি করিয়েছে।
সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশনের কর্তৃপক্ষ জানান মেহেদী একজন ঠিকাদার তার বিরুদ্ধে প্রমাণসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।