বাঁচার আকুতি ৬ বছরের শিশু ছামিয়ার

বোরহান উদ্দিন | কালুখালী, রাজবাড়ী :
মাত্র ৬ বছর বয়সেই দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে ছামিয়া আক্তার। মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে বি-ভাইরাস। এই সময়ে শিশুটির স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা ও খেলাধুলা করার কথা ছিলো। কিন্তু বিগত চার মাস ধরে অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছে সে। হাত পা অবশ হয়ে আসছে কথা বলতে পারছে না। এছাড়াও জটিল ভাইরাসের সঙ্গে আরও নানা রোগ বাসা বেঁধেছে ছোট্ট শিশু ছামিয়ার শরীরে।
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের সাইফুল সর্দার ও শিল্পী আক্তার দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ছামিয়া মেঝো সন্তান ।
চার মাস আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশু ছামিয়াকে । অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ফরিদপুর পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় তাকে। ডাক্তাররা বলেছেন মাথায় ধরা পড়েছে বি-ভাইরাস । চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। দরিদ্র বাবা পেশায় সামান্য মাছের ব্যবসায়ী ।
অসুস্থ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পেলে কালুখালীর রতনদিয়া গ্রামের রেলের যায়গায় বসবাসকারী শিশুটির নানা আরশেদ শেখ নিজের বাড়ীতে নিয়ে এসে নিজের সাধ্য অনুযায়ী করাচ্ছেন চিকিৎসা । অসুস্থ শীরর নিয়ে কাঠুরের কাজ করে সংসার ও নাতীনের চিকিৎসার ভার বহন করতে পারতেছেন না। ছামিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ, যা এই দরিদ্র পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা একেবারেই অসম্ভব। জন্মের পর থেকেই মেয়ের চিকিৎসায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন সাইফুল ও শিল্পী ও নানা আরশেদ শেখ৷
শিশুটির নানার বাড়ীতে গেলে শিশুটির মা মোছাঃ শিল্পী খাতুন কান্যজড়িত কন্ঠে বলেন, “আমার মেয়ে সুস্থ্য ছিলো। অসুস্থ্য হবার পর থেকে চলাফেরা ও কথাবার্তা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অভাবের সংসারে নিজেদের চলতেই সমস্যা সেখানে টাকার জন্য মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছি না। কেউ যদি আমার মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতো আমরা তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম।”
মেয়ের নানা আরশেদ শেখ বলেন,“ আমার নাতি চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি চিকিৎসার দায়িত্ব নিলে আমরা তাকে বাঁচাতে পারতাম। ”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হালিম সরদার বলেন, “বিষয়টি আমার জানা আছে। আমারা রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছুটা সহযোগীতা করেছি। অন্যান্য যায়গা থেকে সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছে। অনেক টাকার প্রয়োজন যদি কেউ চিকিৎসার দায়িত্ব নিতো তাহলে শিশুটি সুস্থ্য হতে পারতো।”
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি কালুখালী শাখার হিসাব নং- ২০০০১৮৯৮৩৪৪৯ ( মা মোছাঃ শিল্পী খাতুন।