দেবীগঞ্জে কলেজছাত্রী সুলতানার হত্যার দায় স্বীকার প্রেমিক মহাদেব রায়ের

একেএম বজলুর রহমান , পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে কলেজ ছাত্রী সুলতানা আক্তার রত্নার হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মহাদেব রায়। ৩১ জুলাই পঞ্চগড় জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মহাদেব রায় এ জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দি প্রেস রিলিজ আকারে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেন।
চাঞ্চল্যকর সুলতানা আক্তার রত্না হত্যা মামলার মূল রহস্য ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন করতে সক্ষম হন দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডে জড়িত মূল আসামী হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন। আসামী মহাদেব রায় স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
৩১ জুলাই মহাদেব রায় (৩০) ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মহাদেব রায় রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করেন। এরপর বিভিন্ন শ্রেনীর শিক্ষার্থীদেরকে প্রাইভেট পড়াতো। সুলতানা আক্তার রত্নাকে প্রায় ৫ বছর ধরে প্রাইভেট পড়াতো। সেখান থেকেই তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে থেকেই সুলতানা আক্তার রত্না ও মহাদেবের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলমান ছিল এবং মহাদেব রায় বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে রত্নার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন।
একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামী মহাদেব রায়ের পরিবার তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। সুলতানা আক্তার রত্না গ্রেফতারকৃত মহাদেব রায় এর অন্যত্র বিয়ে ঠিক করার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে পালিয়ে গিয়ে বিবাহের জন্য পীড়াপীড়ি করে। ঘটনার দিন মহাদেব রায় অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রত্নাকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে তাদের মধ্যে পালিয়ে বিয়ে করার বিষয়ে মতানৈক্য ও ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামী মহাদেব রায় তার প্রেমিকা সুলতানা আক্তার রত্নাকে তার পরনে থাকা উড়না গলায় পেঁচিয়ে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তার মরদেহ দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মরাতলীর খাগড়াবাড়ির মাঝাপাড়ায় বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় সুলতানা আক্তার রত্নাের বাবা দেবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় মহাদেব রায় বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
দেবীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার জানান,
হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে মহাদেব রায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। এ ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি।