সদরপুরে নদী ও খাল থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সদরপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সদরপুরে আকোটের চর এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদী ও সরকারি খাল হতে বালু উত্তোলনের অভিযোগে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (১০ আগস্ট) রাতে আকোটের চর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নিত্য গোপাল চক্রবর্তী বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুকদেব রায়।
মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন- সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের ইউসুফ বেপারি ডাঙ্গী এলাকার ফজলুল হক বেপারীর ছেলে কাজল বেপারী(৫০), কাদের শেখের ডাঙ্গী এলাকার গঙ্গাচরনের ছেলে গণেশ (৪৮), সারেং ডাঙ্গী এলাকার হুমায়ুন ফকিরের ছেলে আরিফ ফকির (৩৮), ছৈজদ্দিন বেপারী ডাঙ্গী এলাকার মৃত মালেক ফকিরের ছেলে হুমাই ফকির (৫২), ওসমান কাজীর ডাঙ্গী এলাকার শানু বেপারীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৫৪)।
এজাহারে উল্লেখ আছে, সদরপুর উপজেলার ৩৪ নং আকোটেরচর মৌজাধীন ওসমান কাজীর ডাঙ্গী এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ খাল ও ফসলি জমি হতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালু ও মাটি উত্তোলন করে যাচ্ছেন আসামিরা। এলাকাটি পদ্মার তীরবর্তী ও ভাঙন প্রবণ হওয়ায় বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙন বৃদ্ধিরসহ এলাকার ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর হলে তার অফিসের অফিস সহায়ক মো. জাহাঙ্গীর মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে একাধিকবার সরেজমিনে গিয়ে বর্ণিত অবৈধ বালু ও মাটি ব্যবসায়ীগণকে বালু ও মাটি উত্তোলন করতে মৌখিকভাবে একাধিকবার নিষেধ করেন।
আরও উল্লেখ আছে, আসামিরা তাদের কথায় কর্ণপাত না করে বালু ও মাটি উত্তোলনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কারনে ১০ আগস্ট দুপুর তিন’টার দিকে সদরপুর থানায় এজাহার দায়ের করে নিত্য গোপাল চক্রবর্তী। এর ফলশ্রুতিতে বালু ও মাটি উত্তোলনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে বর্ণিত তারা আইন বর্হিভূতভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫(১) ধারায় মামলা রুজু হয়।
এ বিষয়ে সদরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, গতকাল রাতে আকোটের চর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া সুলতানা বলেন, আগামীতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।