লালমনিরহাট ১ আসন (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শিহাব আহমেদ এর ঘোষণা

লুৎফর রহমান লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শিহাব আহমেদ।
তিনি জানিয়েছেন, দল-মত ও ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ছাড়াই দীর্ঘ ৮ বছর ধরে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের মানুষের পাশে ছিলেন। শিহাব আহমেদ এর ভাষায়—
“এই দেশকে নিঃস্বার্থভাবে কিছু দিতে এসেছি, নিতে নয়। প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, আমি এসেছি মানুষের সেবা করতে।”
সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প
শিহাব আহমেদ এর জীবন শুরু হয়েছিল কঠোর সংগ্রাম দিয়ে। দুই বছর বয়সে মায়ের মৃত্যুর পরে অনেক কষ্ট করে জীবন সংগ্রাম শুরু হয়। তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্থানীয় বড়খাতা বাজারে সবজি বিক্রি করে পড়ালেখা ও জীবন নির্বাহের খরচ চালাতেন। ২০১৬ সালে তুরস্ক সরকারের শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য তুরস্কে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য করেছেন কনস্ট্রাকশন কম্পানিতে লেবারি, রেস্টুরেন্টে ডিশওয়াশার ও ওয়েটারের কাজ, এমনকি জুতো পালিশও। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি ধীরে ধীরে নিজের ভাগ্য গড়ে তোলেন এবং তুরস্কে দ্যা অটোমান গ্রুপের আওতায় চারটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।
পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশ “শিহাব গ্রুপ অফ কোম্পানি”-র আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩টি প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে ৫টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তিনি ব্যপক পরিচিতি অর্জন করেছেন তার সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে।
নির্বাচনী অঙ্গীকার
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিহাব আহমেদ তাঁর পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন—
তিনি বলেছেন একটি মানবিক, কল্যাণকর ও বেকারত্বমুক্ত হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম উপজেলা তিনি গড়ে তুলতে চান।
২০৩০ সালের মধ্যে দুই উপজেলার ৫,০০০ তরুণ ছাত্র ও যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চান।
২,০০০ তরুণকে তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে চান।
২০৩০ সালের মধ্যেই দুই উপজেলাকে বেকারত্বমুক্ত ঘোষণা করতে চান।
তিনি বলেন—
“নির্বাচিত হলে হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম উপজেলার প্রতিটি ঘরে কর্মসংস্থানের আলো জ্বলবে ইনশাআল্লাহ। এ লক্ষ্যে আমি ইতোমধ্যেই দেশে-বিদেশে ছুটে চলেছি।”
সামাজিক কার্যক্রম ও ভূমিকা
দুই উপজেলার ২৫০০০ এর বেশি পরিবারে তিনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছেন। দুই উপজেলার ১০০০ এর বেশি মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা ও স্কুল কলেজে ওযুখানার ব্যবস্থা করেছেন। ১৫টি মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা করেছেন। এছাড়াও দুই উপজেলার যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবার আগে তিনি সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে এস,এস,সি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি। দুই উপজেলার ৮০ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন দুই উপজেলার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে তিনি ৩ কোটি টাকা শিক্ষা সহায়তা দিবেন আগামী ১০ বছরে। দুই উপজেলার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে প্রতিষ্টা করেছেন “শিহাব আহমেদ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট”। এছাড়াও স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখতে তিনি তুরস্ক ও জাপানের আদলে দুই উপজেলা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে তিনি বুড়িমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ-এর আন্দোলনে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারেননি।
রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
শিহাব আহমেদ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আপাতত এ আসনে স্বতন্ত্রসহ দুইজন সম্ভাব্য প্রার্থীকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হয়ে উঠেছে। ১ আসন(হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শিহাব আহমেদ এর ঘোষণা
লুৎফর রহমান লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শিহাব আহমেদ।
তিনি জানিয়েছেন, দল-মত ও ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ছাড়াই দীর্ঘ ৮ বছর ধরে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের মানুষের পাশে ছিলেন। শিহাব আহমেদ এর ভাষায়—
“এই দেশকে নিঃস্বার্থভাবে কিছু দিতে এসেছি, নিতে নয়। প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, আমি এসেছি মানুষের সেবা করতে।”
সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প
শিহাব আহমেদ এর জীবন শুরু হয়েছিল কঠোর সংগ্রাম দিয়ে। দুই বছর বয়সে মায়ের মৃত্যুর পরে অনেক কষ্ট করে জীবন সংগ্রাম শুরু হয়। তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্থানীয় বড়খাতা বাজারে সবজি বিক্রি করে পড়ালেখা ও জীবন নির্বাহের খরচ চালাতেন। ২০১৬ সালে তুরস্ক সরকারের শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য তুরস্কে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য করেছেন কনস্ট্রাকশন কম্পানিতে লেবারি, রেস্টুরেন্টে ডিশওয়াশার ও ওয়েটারের কাজ, এমনকি জুতো পালিশও। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি ধীরে ধীরে নিজের ভাগ্য গড়ে তোলেন এবং তুরস্কে দ্যা অটোমান গ্রুপের আওতায় চারটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।
পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশ “শিহাব গ্রুপ অফ কোম্পানি”-র আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩টি প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে ৫টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তিনি ব্যপক পরিচিতি অর্জন করেছেন তার সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে।
নির্বাচনী অঙ্গীকার
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিহাব আহমেদ তাঁর পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন—
তিনি বলেছেন একটি মানবিক, কল্যাণকর ও বেকারত্বমুক্ত হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম উপজেলা তিনি গড়ে তুলতে চান।
২০৩০ সালের মধ্যে দুই উপজেলার ৫,০০০ তরুণ ছাত্র ও যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চান।
২,০০০ তরুণকে তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে চান।
২০৩০ সালের মধ্যেই দুই উপজেলাকে বেকারত্বমুক্ত ঘোষণা করতে চান।
তিনি বলেন—
“নির্বাচিত হলে হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম উপজেলার প্রতিটি ঘরে কর্মসংস্থানের আলো জ্বলবে ইনশাআল্লাহ। এ লক্ষ্যে আমি ইতোমধ্যেই দেশে-বিদেশে ছুটে চলেছি।”
সামাজিক কার্যক্রম ও ভূমিকা
দুই উপজেলার ২৫০০০ এর বেশি পরিবারে তিনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছেন। দুই উপজেলার ১০০০ এর বেশি মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা ও স্কুল কলেজে ওযুখানার ব্যবস্থা করেছেন। ১৫টি মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা করেছেন। এছাড়াও দুই উপজেলার যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবার আগে তিনি সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে এস,এস,সি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি। দুই উপজেলার ৮০ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন দুই উপজেলার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে তিনি ৩ কোটি টাকা শিক্ষা সহায়তা দিবেন আগামী ১০ বছরে। দুই উপজেলার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে প্রতিষ্টা করেছেন “শিহাব আহমেদ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট”। এছাড়াও স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখতে তিনি তুরস্ক ও জাপানের আদলে দুই উপজেলা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে তিনি বুড়িমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ-এর আন্দোলনে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারেননি।
রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
শিহাব আহমেদ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আপাতত এ আসনে স্বতন্ত্রসহ দুইজন সম্ভাব্য প্রার্থীকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হয়ে উঠেছে।