লালমনিরহাট সীমান্তে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু বিএসএফ এর হাতে, প্রতিবাদের বিক্ষোভ।

লুৎফর রহমান লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি যুবক হাসিবুর রহমানকে(২৮) নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা ফিলিং স্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা চত্বর ঘুরে মেডিকেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

লালমনিরহাট ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত জয়নুল আবেদীন সরকারের বড় ছেলে সাহেদুজ্জামান কোয়েল এ বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন।

স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যেঔ অংশ নেন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, কৃষক দলের সদস্য সচিব মতিউর রহমান মতি, ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৪ নং মেইন পিলারের সাব ৬ এস পিলারের এলাকায় বিএসএফের গুলিতে হাসিনুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত বাংলাদেশিকে ভারতে নিয়েছে বিএসএফ। সন্ধ্যায় ভারতের কোচবিহার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয়রা। তবে ওই যুবক মারা যাওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, মধ্য সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৪ নং মেইন পিলারের সাব ৬ এস পিলারের এলাকা হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে হাসিনুর রহমানসহ কয়েকজন বাংলাদেশি। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৫৭ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। এতে হাসিনুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে সাটিতে পরে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নিয়ে কুচবিহার হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসিনুর চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গ্রামপুলিশ ও ইউপি সদস্যকে পাঠানো হয়েছে। যতদূর শুনেছি, বিএসএফের গুলিতে আহত হাসিনুর রহমানকে ভারতের কুচবিহারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে বিএসএফ। তারপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহমুদুন নবী বলেন, সীমান্তবাসীর মাধ্যমে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিনুরের আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তির পর মৃত্যু হয়।