ভূঞাপুরে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেন্দ্রসচিবকে লাঞ্ছিত,অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ

খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল :টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দাখিল পরিক্ষা-২০২৫ এর কেন্দ্রসচিব মাওলানা মোঃ আব্দুস সোবহান কে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে এসেছে উপজেলার এসিল্যান্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: তরিকুল ইসলামলের বিরুদ্ধে।
কেন্দ্রসচিব মাওলানা মো. আব্দুস ছোবাহান ভূঞাপুর ফাজিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ।
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহানের বড় ছেলে আব্দুল ওয়ারেছ।
এর আগে ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসায় এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ওই কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহানকে শারীরিক লাঞ্ছিত করেন তিনি। এর আগে পিঠের চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দেয় এসিল্যান্ড।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি জমিয়াতুল মোদারেছিন উপজেলা শাখার সভাপতি আফছার উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুলসহ সংগঠনের অন্যান্যরা সহায়ক পাঠ্য বইয়ের একটি কোম্পানি থেকে নেওয়া অর্থ আত্মসাৎ করলে অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহান এর প্রতিবাদ করে। এ ক্ষোভে ১৬ মার্চ জামিয়াতুল সংগঠনের নেতারা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ এনে চলমান এসএসসি দাখিল পরীক্ষার ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্র সচিব দায়িত্বের জন্য জমিয়াতুল সংগঠনের সভাপতি আফছার উদ্দিনকে মনোনয়ন করে মাদরাসা বোর্ড। ২৪ মার্চ এ মনোনয়নের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে পুনরায় গত ৮ এপ্রিল কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব বহালের রায় পান অধ্যক্ষ আব্দুছ ছোবহান। পরে ৯ এপ্রিল রায়ের কপিটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিকট প্রদান করলে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্দেশ দেয়। এদিন রাতে সহকারী কমিশনার মাদরাসায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রসচিব জানায় আফছার উদ্দিন-ই কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন এবং পরে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং বয়স বিবেচনা না করে অধ্যক্ষের পিঠের চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দেন এসিল্যান্ড।
পরীক্ষা চলাকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব অবহেলা ও প্রশ্নপত্র কম থাকার অভিযোগে অধ্যক্ষসহ ছয়জনকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
অভিযোগ আরও বলা হয়, ঘটনার দিন কেন্দ্রসচিব অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহানের ওপর দায় চাপিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম। এনিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও সহকারী কমিশনারের বিচার দাবি করা হয়।