দেবীগঞ্জে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নিম্নমানের বীজ কিনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড়
দেবীগঞ্জে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নিম্নমানের বীজ কিনে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকেরা।
উচ্চ মূল্যে বীজ কিনে বিভিন্ন কৃষকেরা ক্ষতির শিকার হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছেও তারা প্রতিকার ও শাস্তির দাবিতে অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর নাম অমল চন্দ্র রায়। সে দন্ডপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং বিএডিসির ডিলার।
অভিযোগ উঠেছে বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের সময় প্রভাব খাটিয়ে বিএডিসির লাইসেন্স হাতিয়ে নেন। লাইসেন্স নেয়ার পর থেকেই নিম্ন মানের বীজ কিনে কৃষকদের সাথে প্রতারনা করে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা।
এছাড়াও অমল কুমার রায় অনুমোদন বিহীন ভাবে সারের ব্যবসাও করে আসছেন। অবৈধ ভাবে সার মজুদ করে বেশি দামে বিক্রি করারও অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুরবা হোসেন তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর অধীনে ৫০ হাজার টাকাও জরিমানা করা হয়।
চলতি মৌসুমে অমল কুমার রায় নিম্নমানের পিয়াজের বীজের ব্যবসা করেও হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এনিয়ে দেবীগঞ্জ কলেজপাড়া এলাকার লাল মিয়া নামের এক কৃষক দেবীগঞ্জ থানায় ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন। জানা যায়, তার কাছ থেকে ২৩ কেজি বীজ উচ্চ মূল্যে কিনে নেন। সে বীজগুলো স্থানীয় কৃষকদের দিয়ে রোপন করেন। সে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা বীজ দিয়ে পিয়াজ রোপন করার পর পিয়াজগুলো নষ্ট হয়ে যায়। পিয়াজ আবাদ করার সময় আবাদের সময় সব খরচ মিলে তার প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়।
অমল কুমার রায়ের মুঠোফোনে তার বক্তব্য জানার জন্য ফোন দেয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ জানান, ভেজাল বীজ বিক্রি করার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।