দেবীগঞ্জে মেছো বাঘটি দুটি বাচ্চা রেখেই পালিয়ে গেল জঙ্গলে। স্থানীয়রা উদ্ধার করল বাচ্চা

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড়
দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বলরামপুর আলমপাড়া এলাকায় মেছো বাঘ তার দিটি বাচ্চা রেখেই পালিয়ে গেল জঙ্গলে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বাড়ির মালিক ওয়াশিম আকরামের খড়ির ঘর থেকে দুটি মেছো বাঘের বাচ্চা উদ্বার করা হয়।
২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওয়াসিম আকরামের খড়ির ঘর থেকে দুটি মেছো বাঘের বাচ্চা উদ্বার করেন বাড়ির লোকজন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মেছো বাঘের বাচ্চাগুলো দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন ভীড় জমান তাদের বাড়িতে।
ওয়াশিম আকরাম জানান, সকাল থেকে খড়ির ঘর ভাংগার পর ঘর থেকে বড় মেছো বাঘটি পালিয়ে যায়। পরে সেখানে আরও তিনটি বাচ্চা দেখা যায়। বাচ্চাটি ধরতে গেলে একটি বাচ্চা পালিয়ে যায়। সেখান হতে দুটি বাচ্চা উদ্বার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারনা, মেছো বাঘটি ভারত হতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসেছে। এখানে আসার পরে বাচ্চা জম্ম দেন।
ফারুক হোসেন জানান, এর আগে মেছো বাঘ দেখি নাই। আজকে প্রথম দেখলাম। বাচ্চা দুটি খুব ছোট।
আরেক স্থানীয় ব্যক্তি নৌবাহিনীর অফিসার আব্দুল মালেক বলেন, আমার শ্যালক ওয়াশিম আকরামের খড়ের ঘর থেকে মেছো বাঘের বাচ্চা দুটিকে উদ্ধার করা হয়। বাচ্চা দুটি ছোট থাকায় এগুলো বন বিভাগের বাগানে ছেড়ে দিলে ভালো হতো।
ওয়াসিম আকরাম জানান, বন বিভাগের লোকজনের সাথে কথা বলার পর তারা ঘটনাস্থলে আসছেন। মেছো বাঘের বাচ্চা দুটি ছোট থাকায় খড়ের ঘরে রেখে দিতে বলছেন।
বনবিভাগের দেবীগঞ্জের বদেশ্বরী বিটের বিট কর্মকর্তা এস এম নূর জানান, মেছো বাঘের বাচ্চা ২ টি আটকের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
কর্মকর্তারা দিনাজপুরের সিংড়া ফরেষ্টের লোকজনের সাথে কথা বলছেন। বাচ্চা দুটি রাতের মধ্যে খড়ের ঘরে রেখে দিতে বলছি। যদি বাচ্চা দুটির মা রাতে এসে নিয়ে যায় তাহলে বাচ্চাগুলো বেচে যাবে। যদি না নিয়ে যায় তাহলে শুক্রবার সকালে আমরা সিংড়া ফরেষ্টে হস্তান্তর করবো।
দেবীগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মন্জুরুল করিম মেছো বাঘের দুটি বাচ্চা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশীদ জানান, আমি বাইরে থাকার কারনে মেছো বাঘের বাচ্চা উদ্ধারের বিষয়টি আমি জানিনা।