দেবীগঞ্জের কালীগঞ্জে শাহনেওয়াজ ফিলিং ষ্টেশনে তেল বিক্রিতে কারচুপির অভিযোগ

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জের প্রদানাবাদ এলাকায় মেসার্স শাহনেওয়াজ ফিলিং ষ্টেশনে ডিজেল ও পেট্রোল বিক্রি করার সময় ওজনে কারচুপি করাকে কেন্দ্র বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
শাহনেওয়াজ ফিলিং ষ্টেশনে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরআগেও ওজনে কম দিয়ে গ্রাহককে প্রতারনা করার অভিযোগ ছিল।
২২ মে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার সময় ডিজেল ও পেট্রোল বিক্রি করার সময় ওজনে কম দেয়াকে কেন্দ্র করে গ্রাহক পেট্রোল পাম্পের কর্মচারীর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পেট্রোল পাম্পের ডিজেলের কর্মচারী রুবেল ও পেট্রোলের কর্মচারী ছামিউল ওজনে কম দেন। শাহনেওয়াজ ফিলিং ষ্টেশন প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ পাম্পে ১৫শ লিটার ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন ৬শ লিটার বিক্রি হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর ফিলিং ষ্টেশনটি স্থাপনের পর থেকেই ম্যানেজার দিবাকর রায়ের সহযোগিতায় পাম্পের মালিক তার কর্মচারীদের দিয়ে ওজনে কম দিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে আসছেন। পাম্পের মালিক শাহনেওয়াজ ওজনে কম দিয়ে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন।
অটো রাইস মিলের কর্মচারী জানান, আমাদের অটো রাইস মিলের জন্য দেবীগঞ্জ ও ডোমার পাম্প থেকে ডিজেল ক্রয় করি। সে পাম্প গুলোতে ড্রামের মধ্যে ২১৬ লিটার ডিজেল নিয়ে থাকি। কিন্ত শাহনেওয়াজ ফিলিং ষ্টেশনে একই ড্রামের মধ্যে ২২৬ লিটার ডিজেল দেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করি এবং ওজনে কম দেয়ার কারন জিজ্ঞেস করলে তারা আমাদের উপর তেড়ে আসেন। তখন উপস্থিত স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে ওই ড্রামের ডিজেল পুনরায় বের করে ওজন দেয়ার পর সে ড্রামে ২১৬ লিটার ডিজেল মাপা হয়। শাহনেওয়াজ ফিলিং ষ্টেশনটি প্রতিষ্ঠা করার পর থেকেই ওজনে কম দিয়ে আসছিল।
ফিলিং ষ্টেশনের ম্যানেজার দিপাকর রায়, সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন। পরে একাধিক বার তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
শাহনেওয়াজ ফিলিং ষ্টেশনের মালিক শাহনেওয়াজ জানান, কিছু প্রতিষ্টানে কম বেশি খারাপ কর্মচারী থাকে। আমার প্রতিষ্ঠানে দু একজন আছে যারা এ কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।