দেবীগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার এক নিভূত পল্লী এলাকায় নির্মান করা হচ্ছে দৃষ্টনন্দন মসজিদ৷ এর আগে দেবীগঞ্জ উপজেলায় এরকম মসজিদ নির্মান করা হয়নি। মসজিদের কাজ শেষ করতে আরও৩ থেকে ৪ মাস চলে যাবে।
মসজিদটি নির্মান করা হচ্ছে দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের রাজারহাট এলাকার পাশে হাকিমন নেছা বিদ্যা নিকেতন ও মোহাম্মদ আকালিয়া খাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে। বিদ্যালয়টি ৮০ শতক জমির উপরে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ৮০ শতক জমির উপরে দুটি বিদ্যালয় ও মসজিদ নির্মান করা হয়েছে। সাড়ে ১৬ শতক জমির মধ্যে
স্থানীয় সমাজের লোকজন, বিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের নামাজ আদায়ের জন্যই মসজিদটি নির্মান করতেছেন দেশের সুনামধন্য চিকিৎসক
ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব খাঁন৷ তিনি দেশের সুনামধন্য কিডনি বিশেষজ্ঞ। ৫ হাজার স্কয়ার ফিট এ মসজিদে প্রায় ১ হাজার লোক জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারবে। মসজিদের ভিতরে ও বাহিরে যে সমস্ত টাইলস ও মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে সব বিদেশী মালামাল।
এলাকায় মান সম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকার কারনে তিনি তার বাবার নামে মোহাম্মদ আকালিয়া খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় ও মায়ের নামে হাকিমন নেছা বিদ্যা নিকেতন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলটিকে পর্যায়ক্রমে কলেজে উন্নত করা হবে বলে জানান স্কুলটির কর্নধার ডাঃ আব্দুল ওয়াহাব খান। দক্ষ পরিচালনা কমিটি ও অভিজ্ঞ শিক্ষক খাকার কারনে বিভিন্ন দুর দুরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে এসে পড়াশোনা করছেন।
এবার তিনি সমাজবাসীদের কথা চিন্তা করে একটি দৃষ্টি নন্দন মনজিদ নির্মান করতেছেন। মসজিদটি দৃষ্টিনন্দন হওয়ার কারনে বিভিন্ন দুর দুরান্ত থেকে লোকজন আসছেন দেখার জন্য।
মসজিদে রয়েছে মহিলাদের জন্য আলাদা অযুখানা ও নামাজের ব্যবস্থা। প্রতি লাইনে ৬০ জনকে ১২টি লাইনে প্রায় ১ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে৷ নামাজ পড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগের প্রস্ততিও গ্রহন করা হয়েছে। মসজিদের সামনে ফাকা জায়গায় পাকা করে সেখানে জানাজা নামাজের জন্যও ব্যবস্থা করা হবে। তার সাথে মৃত ব্যক্তির গোসল করানোর ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানান তিনি।
ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মসজিদের পাশে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার কথা জানান এ চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল ওয়াহাব খান। এখানে প্রতি বছর ঈদের নামাজ আদায় করারও ব্যবস্থা করা হবে৷
তিনি বলেন, আমার কাছে সামান্য কিছু টাকা আছে সেগুলো দিয়েই এখানে একটি অত্যাধুনিক দৃষ্টি নন্দন মসজিদ নির্মান করছি। এ মসজিদে প্রায় ১ হাজার মুসুল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারবে। এরআগে এখানে
হাকিমন নেছা বিদ্যা নিকেতন নামে একটি প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুল চালু করেছি। সেখানে নার্সারি হতে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা হবে৷ আর ৬ষ্ঠ শ্রেনী হতে দশম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান করার জন্য সেখানে মোহাম্মদ আকালিয়া খান উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। এটি কলেজে রুপান্তর করা হবে৷ এলাকার গরীব অসহায় লোকজনের স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়ানোর জন্য এখানে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মান করার জন্যও চেষ্টা করছি। ধর্মীয় শিক্ষার জন্য একটি মাদরাসাও প্রতিষ্ঠা করা হবে৷ যারা মৃত্যু বরন করবেন তাদের গোসল ও জানাজা পড়ানোর ব্যবস্থাও করা হবে এখানে।