মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, ভূমি দস্যু রাশেদ, লিয়াকত ও লাবুর বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে সংবাদ সম্মেলন

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড়
আওয়ামী লীগের দোসর দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রশিদুল ইসলাম রাশেদ, তার পিতা লিয়াকত আলী ও লাবু রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরে গণমাধ্যম কর্মীদের অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী একেএম মন্জুরুল হক। সে সোনাহার পূর্ব মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলন করেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সদস্য রশিদুল ইসলাম রাশেদ ও তার পিতা লিয়াকত আলী ও ভূমি দস্যু দেবীগঞ্জ সাব রেজিষ্টি অফিসের দলিল লেখক লাবু রহমানের বিরুদ্ধে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে মন্জুরুল হক জানান, দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদ আওয়ামী লীগের সময় আমাদের নামে এ পর্যন্ত ৯টি মামলা করেছে। সব মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যকে হয়রানি করছে। রাশেদ ভূমি দস্যু লাবুকে দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ব্যবহার করে আমাদের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে। তাকে সমস্ত অর্থ যোগান দেন রাশেদ ও তার বাবা লিয়াকত আলী। লিয়াকত আলীর পরিবারের সদস্যরা হলো নুর ইসলাম। সে রাশেদের ভাগনে। সে ৭ নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাকিরুল ইসলাম ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে রাশেদের চাচাতো ভাই।
মন্জুরুল হক জানান, তাদের পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোনাহার পূর্ব মুন্সিপাড়া এলাকায় আমার জমি দখলের জন্য জিআর মামলা করেন৷ সে মামলার আরজিতে দলীয় পদবি ব্যবহার করে মামলা করেন। ওই মিথ্যা মামলা আদালত খারিজ করে দেন। এরপর আমি আমার জমি বেদখল করতে গেলে লিয়াকত আলী বাদি হয়ে ফৌজদারি কার্যবিধিতে আরেকটি মামলা করেন আমার নামে। পরবর্তীতে আদালত সে মামলাও খারিজ করে দেন। এরপর মিজানুর রহমান বাদী হয়ে আমার নামে আরেকটি ভুয়া মামলা করেন। মামলার পরে বাদী আদালতে হাজির না হওয়ায় সে মামলাও আদালত খারিজ দেয়। এরপর ভূমি দস্যু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ ও তার পিতা লিয়াকত আলী মিলে শাপলা আক্তারকে নিয়ে আমার নামে মিথ্যা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। সে মামলা আদালত খারিজ করে দেন। এরপর তমিদার রহমান গং দেবীগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেন। আমার ৪২ শতক জমি মামলা চলাকালীন সময়ে কিনে নেন লিয়াকত আলী। কিনে নেয়ার পর লিয়াকত আলী আরেকটি মামলা করেন। পরে মামলাটি খারিজ করে দেন। মামলা খারিজ হওয়ার পরে লিয়াকত আলী ২০১৮ সালে আপীল করেন। তার আপীলটি পূর্ন বিচারের জন্য নিম্ম আদালতে বিচারের জন্য প্রেরন করেন। লিয়াকত আলী তাদেরকে ফুসলিয়ে মামলা চলাকালীন সময়ে ২০২২ সালে ৪টি দলিল করে জমি দখল করার জন্য। সে মামলাটিও ২০২৩ সালেও ১৫ জানুয়ারী আদালত খারিজ করে দেন। পরে ওই জমিতে লিয়াকত আলী বাড়ির গেট নির্মান করে। এতে জমির মালিক মনজিরুল হক বাধা দিলে তারা আবার জিআর মামলা করে। একে একে তাদের সব মামলা খারিজ হওয়ার পরে ভূমি দস্যু রাশেদ আরেক ভূমি দস্যু লাবু রহমানের সহযোগিতায় সন্ত্রাসী দিয়ে ৮ শতক জমি বেদল করেছে।
ভুক্তভোগী একেএম মন্জুরুল হক আরও জানান, আমরা বিএনপির রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। তারা পূর্ব থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। এখনও তারা আওয়ামী লীগের প্রচারনা চালাচ্ছে। তারা এরআগেও আমাদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে আর এখনো করছে। তাদের হয়রানির হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং আওয়ামী লীগের দোসর রাশেদ, তার পিতা লিয়াকত আলী ও লাবু রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।