ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি করার অভিযোগে ব্যবসায়ীকে পুলিশে সোপর্দ।

মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী:
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি করার অভিযোগ এনে ব্যবসায়ীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে কয়েক ব্যাক্তি।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেনী মডেল থানার পাশের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে।ওই ব্যাবসায়ীর নাম জহির উদ্দিন মাহমুদ,তিনি সোনাগাজীর পৌর বাজারের চাল ব্যাবসায়ী,বাড়ি সদর ইউনিয়নের চরখোয়াজ গ্রামে।এদিকে আটকের পর শুক্রবার বিকালে পুলিশ তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি করে ছাত্র হত্যা ঘটনায় দায়ের হওয়া দুইটি হত্যা মামলায় গ্রেফতাী দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে ব্যাবসায়ী জহির মাগরিবের নামাজ শেষে হেটে বাসায় ফিরছিলেন। ওই সময় একাধিক ব্যাক্তি তাকে ধরে চড়থাপ্পড় মেরে পুলিশে সোপর্দ করে।তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তিরা মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে রক্ষা করে নিরাপদে থানায় নিয়ে যায়।এই সময় এক ব্যাক্তিকে পুলিশের উদ্দেশ্য করে বলতে শোনা গেছে স্যার স্যার সে আমাকে গুলি করেছে।ওই সময় জহির নিজেকে নির্দোষ দাবী করতে থাকেন,স্থানীয়রা জানায় ব্যাবসায়ী জহির আগে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।২০১৬ সালে পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।ভোট গ্রহনের দিন ফেনীর সাবেক এমপি নিজাম হাজারীর অনুসারীরা তাকে ব্যাপক মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।তারপর রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে ব্যাবসায় মনোনিবেশ করেন।পৌর শহরের তাকিয়া রোড়ের ফাতেমা মঞ্জিলের পাশে ভূমি নিয়ে তার সাথে কয়েক ব্যাক্তির বিরোধ চলমান রয়েছে।জহিরের ছেলে লিংকন বলেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আমার বাবা গুলি করাতো দুরের কথা,কোন মিছিল মিটিংয়ে ছিলনা।ফেনীতে দায়ের হওয়া কোন মামলায় আমার বাবাকে আসামী করা হয়নি।প্রভাবশালী কয়েক ব্যাক্তি সাথে আমাদের ভুমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।ওই ব্যাক্তিদের মধ্যে প্রশাসনের কর্মকর্তাও রয়েছে।তারা আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়েছে।আদালতে মামলা দেওয়ার পর তারা আমার বাবাকে হয়রানী করতে থাকে।রক্ষা থেকে পেতে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বিচারও চেয়েছে।ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন তদন্তে সস্পৃক্ততা পাওয়াতে দুইটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।