নেছারাবাদে চাঁদাবাজির মামলায় জামিন পেয়ে এক দিনের মাথায় পুনরায় চাঁদাবাজির মামলা

পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) চাঁদাবাজির মামলায় জামিনে বের হয়ে এসেই আবার চাঁদাবাজি মামলার আসামি হলেন চার যুবক।
আসামিরা হলেন- উপজেলার পাটিকেলবাড়ি গ্রামের গুয়ারেখা ইউনিয়নের মো. ইদ্রিস ফকিরের ছেলে আরিফ ফকির, মো. কুদ্দুস শিকদারের ছেলে রুবেল শিকদার শাকিল, মোঃ.আব্দুল হাই মোল্লা ছেলে সোহেল মোল্লা ও মো.তোফাজ্জল হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ হোসেন রাজু।
জামিনে বেড়িয়ে একদিনের মাথায় ড্রেজার আটকিয়ে মারধর করে চাঁদা নেয়ায় অভিযোগে তাদের নামে নেছারাবাদ থানায় মামলা করেছেন ড্রেজার মালিক রতন বেপারী।
এরা দীর্ঘ দিন বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সাথে জড়িত। এদের মধ্যে সোহেল মোল্লা পিরোজপুর জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রুবেল সিকদার ওরফে শাকিল ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য, এবং আরিফ ফকির ঢাকা মহানগর ছাত্রদল পূর্ব শাখার সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রিয়াজ হোসেন রাজু ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের বহিস্কৃত সদস্য সচিব ছিলেন।
মাারীপুরের ড্রেজার মালিক রতন বেপারীর করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে গুয়ারেখা লঞ্চঘাট পল্টনের বসে রতন বেপারীর যৌথ মালিকানাধীন এমভি কাজী রিপন লোড ড্রেজার যাহার এম নং-০১-৫০৫৯ ড্রেজারের জালানি সংকট পড়িলে রাজবাড়ী লঞ্চ ঘাটের কাছে নোঙ্গর করে।
এসময় কবির রাজবাড়ী বাজারে জালানি ক্রয়ের জন্য ড্রেজার হইতে লঞ্চঘাটের পল্টনে উঠলে আরিফ ফকির দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৩,০০,০০০/- (তিন লঞ্চ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ সময় রুবেল সিকদার ওরফে শাকিল বলে “চাঁদার টাকা না দিলে লোড ড্রেজার এখান থেকে নিতে পারবেনা। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আরিফ, শাকিল, সোহেল, এবং রিয়াজ ড্রেজারেত মালিক কবিরকে মারধর করে ‘ড্রেজারটি ব্যসকাঠী খালের মুখে বেঁধে রাখে এবং ‘ চাঁদার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত ড্রেজার ছাড়বে না তাদেরকে জানান। বিষয়টি অন্য কাউকে জানালে আটককৃতদের খুন করার হুমকি দেন।
ঘটনাটি মোবাইলে আমাকে জানালে আমি মাদারীপুর হইতে বেলা ১২টার সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে আরিফের নিকট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা কম হওয়ায় শাকিল এবং সোহেল ড্রেজারে থাকা দুটো হ্যামকো ব্যাটারী, আনুমানিক মুল্য ৪৪,০০০/- টাকা নিয়ে যায়।রিয়াজের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে কবিরকে স্বজোরে আঘাত করে মাথার অগ্রভাগে ফাটা রক্তাক্ত জখম ও বাম হাতের কনুতে হাড় ভাঙ্গা গুরুত্বর জখম করে তাহার নিকটে থাকা একটি এনড্রয়েড অপ্পো মোবাইল ও একটি আইটেল বার্টন মোবাইল মূল্য অনুমান ১৯,৪০০/- টাকা, নগদ ৮,০০০/- টাকা এবং একটি এনড্রয়েড রেডমি নোট ১১ এস মোবাইল ২৮,০০০/- টাকা ও নগদ ১,৮০০/- টাকা সহ মোট ১,০১২০০/- (এক লক্ষ এক হাজার দুইশত) টাকা জোর করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কারো কাছে প্রকাশ করলে হত্যা করার হুমকি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানার জন্য শাকিলের নম্বরে কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়,পরবর্তীতে আরিফ ফকিরের নম্বরে কল দিলে তিনি জানাব,ঐ ড্রেজারটি ইফতি এন্টারপ্রাইজ নাম লেখা দেখে ছোট পোলাপানে ড্রেজারটি আটকায়,এবং ড্রেজারে কর্মরত রফিক জানায় ড্রেজারের কোন কাগজ নাই। এবং ইতিমধ্যে ব্যাপক অনিয়মের কারনে ইফতি এন্টারপ্রাইজ এর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে যে কারনে ড্রেজারটি আটক করছে। তাদের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা বা মোবাইল ব্যাটারি নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ওসি বনি আমিন বলেন, ড্রেজার আটকিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় তাদের চার জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।