ফেনীতে তাঁতীদলের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম গ্রেফতার।

মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী:
ফেনীতে তাঁতীদলের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের যাত্রাসিদ্দি পূর্ব গোবিন্দপুর বলিবাড়ি সংলগ্ন স্কুলের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জাহাঙ্গীর অত্র এলাকার মাইদের বাড়ির হাফেজ আহাম্মদ ও সালেহ আহাম্মদের ভাগিনা সে ছোট বেলা থেকে নানার বাড়িতে থাকেন।ফেনী মডেল থানার এস আই ফারুক মিয়া জানান,গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার দৈনিক ইনকিলাবের ফেনী জেলা সংবাদদাতা মো.ওমর ফারুকের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান,জাহাঙ্গীর আলম এলাকায় জাইল্লা জাহাঙ্গীর হিসেবে ব্যাপক পরিচিত সে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে কালিদহ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সেলিম উল্লাহ খাঁনের বিশেষ সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।জাহাঙ্গীর তখন যাত্রাসিদ্দি পূর্ব গোবিন্দপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ সেলিম মেম্বারের সাথে শালিস বানিজ্য করতেন।এছাড়াও তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে বলিবাড়ির নুরুল আফছার সোহাগ,বৈদ্যবাড়ির মামুন,সুমন,মসজিদ বাড়ির শহিদ,দাশের পুলের মাদক সম্রাট মানিকসহ এরা পরিবহনে ডাকাতি ও ছিনতাই করে বেড়াতেন এবং পুরো এলাকা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন।গত বছরের ডিসেম্বরে সদর উপজেলা তাঁতীলীগের সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত এর সাথে হাত মিলিয়ে যাত্রাইল দিঘিতে ইরা ম্যানুফেকসারিং কোম্পানির জায়গার বালু লুটে সহযোগিতা করেছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে গেলে এর কিছুদিন পর জাহাঙ্গীর ভোল পাল্টিয়ে কালিদহ ইউনিয়ন তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়েছেন।এরপর থেকে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন।গত বছরের নভেম্বর মাসে অত্র এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ওমর ফারুক প্রকাশ জামাই ফারুক বিদেশ থেকে দেশে আসলে তার সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন জাহাঙ্গীর।জামাই ফারুকের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিলেন।
তার গ্রেফতারে এলাকার মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।এই বিষয়ে ফেনী জেলা তাঁতীদলের সভাপতি ছারোয়ার জাহান শ্রাবণ বলেন,সাংবাদিক ওমর ফারুকের উপর হামলার ঘটনা দু:খজনক।আমার দলের কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।