ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের হত্যার বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র হত্যাকারীদের খুঁজে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় তাদের হাতে “সাজিদ হত্যার বিচার চাই”, “আমার নিরাপদ কোথায়?”, “ওয়ালীউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাস ভাইয়ের সন্ধান চাই”, “রাষ্ট্রের কাছে জবাব চাই সাজিদের খুনিরা কেন বাহিরে”, “বিচার কি ঢাবিই পাবে, ইবি পাবে না?” ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, লাশ পাওয়ার ৪- ৫ ঘন্টা পরও কর্মকর্তা বা প্রশাসনের কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। সিসি টিভি ক্যামেরা না থাকার কারণে, পুরা ক্যাম্পাস ঘুরে লাশ ফেললো কিন্তু কোন ক্যামেরায় ধরা পড়লো না। যেহেতু ক্যামেরা নাই তাই তারা সাহস পেয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা হত্যা হলো কিন্তু তার জন্য প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় হলে কি এত দেরি হতো। ক্যাম্পাসে অনেক প্রোগ্রাম হচ্ছে কিন্তু সাজিদ আব্দুল্লাহ’র নাম উচ্চারণ হচ্ছে না।
সাজিদ আব্দুল্লাহ একজন জুলাই যোদ্ধা। জুলাই যোদ্ধাদের রক্তের উপর এই প্রশাসন বসে আছে। কিন্তু এই বিষয়ে কি তাদের কোন দৃষ্টিভঙ্গি আছে? আর কতদিন পর, আর কত দিন গেলে হত্যার তদন্ত করে বিচার করতে পারবে? আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা করছি। কারণ খুনিগ্রুপ আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা যেকোনো মুহুর্তে আর একটা লাশ ফেলবে না এর কোন নিশ্চয়তা আছে? যাতে এমন অপরাধ আর না হয় এজন্য বিচার হয়। কিন্তু খুনিরা যেহেতু সুযোগ পাচ্ছে তাই তারা আরো লাশ ফেলতে দিধা করবে না। এটা হেলা-ফেলার বিষয় নয়। সাজিদ হত্যার বিচার রাষ্ট্রের কাছে দিতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচার করতে আমরা সরকার কে বাধ্য করবো। যতদিন বিচার না হবে, ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় শাহ আজিজুর রহমান হলের পাশে পুকুরে সাজিদের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করেন। তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিআইডিকে দেয়া হয়।সাজিদ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বাসিন্দা এবং তিনি আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।