রায়পুরে বনিক সমিতির নির্বাচনে সাইফুল ইসলাম মুরাদসহ ৫৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রায়পুর বাজার বণিক সমিতি নির্বাচন-২০২৫ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাজারজুড়ে ফিরে এসেছে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য। সোমবার (২৬ মে) বিকেল পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলামের কাছে ১৬ পদে ৫৬ প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন । ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৮ জুন শনিবার।
রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, বণিক সমিতির সভাপতি পদে ৪জন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৫ জন, সহ-সভাপতি পদে ৫ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন, সহসাধারণ সম্পাদক পদে ৩জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩জন, দপ্তর সম্পাদক পদে ৩জন, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৪জন, যোগাযোগ ও প্রচার সম্পাদক পদে ২জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ৪জন, সমাজসেবা ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে ৩জন, পাঠাগার ও লাইব্রেরি সম্পাদক পদে ৩জন, ৪টি সদস্য পদে ১২জনসহ ১৬টি পদে ৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। মোট ১,৬২৫ জন ট্রেড লাইসেন্সধারী ভোটার প্রত্যক্ষ ভোটে তাদের যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের তাদের নেতা নির্বাচন করবেন।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সভাপতি পদে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম মুরাদ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বড় ভাই আলী হায়দার বেলাল পাটোয়ারী, স্থানীয় ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মনোনয়ন জমা দানের পর তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি কারও প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে নয়, বরং রায়পুর বাজারের ব্যবসায়ী সমাজের উন্নয়নের ধারক হয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। আপনারা যদি আমাকে সমর্থন করেন, তবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—এই বাজারের কাঠামোগত উন্নয়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থার শৃঙ্খলা, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের রোধ এবং একটি সম্মিলিত ও শক্তিশালী বণিক প্ল্যাটফর্ম গঠন করব। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় বড় কথা নয়। আমি চিরকাল ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। কারণ এই বাজারই আমার শিকড়, এখানেই আমার গর্ব।
সাইফুল ইসলাম মুরাদ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। তিনি মেসার্স হায়দর এন্টারপ্রাইজের পরিচালক, আমেনা-আকবর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং রায়পুর ব্যবসায়ী ফেডারেশনের আহ্বায়ক। বণিক সমিতি গঠনে এবং এবারের নির্বাচন আয়োজনের পেছনেও তার উদ্যোগ ও ভূমিকাও ছিল বেশি।
একটি বনেদি মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া মুরাদ পাটোয়ারী ১৯৯১ সালে রায়পুর সরকারি মার্চেন্টস একাডেমি থেকে এসএসসি এবং রায়পুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা শেষে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা নন, একজন দায়বদ্ধ নাগরিক হিসেবেও পরিচিত।
রায়পুরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক দিন পর বাজারে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার এই সুযোগে তারা পরিবর্তনের আশা দেখছেন। আর সেই পরিবর্তনের অগ্রনায়ক হিসেবে তারা সাইফুল ইসলাম মুরাদকে দেখছেন বলেও অনেকে মত প্রকাশ করেছেন।
রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে।