চৌগাছায় অপহরণ মামলায় আটক জীবন এবং সোহাগ

স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের চৌগাছার বহুল আলোচিত থানার দালাল বলে পরিচিত, অপহরণ ও চাঁদাাবজি মামলার আসামী জীবন খান লিপু ও সোহাগ হোসেনকে থানা পুলিশ আটক করেছে। বুধবার দিবাগত রাতে তাদেরকে উপজেলার গয়ড়া গ্রাম হতে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারী চৌগাছার নিয়ামতপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ট্রাক চালক মিন্টুকে চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে। পুলিশ অপহরনের শিকার ব্যক্তিকে উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালান এবং বিকেলের মধ্যে তাকে উদ্ধারসহ দুই অপহরণকারীকে আটক করেন। ওই মামলার অন্যতম আসামী বহুল আলোচিত থানার দালাল বলে পরিচিত জীবন খান লিপু ও তার সহযোগী সোহাগ হোসেনকে বুধবার রাতে আটক করেন পুলিশ। জীবন খান লিপু উপজেলার হাজীপুর গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে ও সোহাগ হোসেন পৌর এলাকার কুঠিপাড়া গ্রামের শমসের আলীর ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার রাতে উপজেলার গয়ড়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় জীবন খান লিপু সোহাগ হোসেনকে নিয়ে নিজ শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছিল। সেখান থেকে তাদেরকে আটক করেন থানা পুলিশ।
চৌগাছা থানার নবগত অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী জীবন খান লিপু ও সোহাগ হোসেন। বুধবার রাতে তাদেরকে আটক করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের দোষর ও থানার অন্যতম দালাল বলে পরিচিত জীবন খান লিপু। শুধু দালাল না, মাদক, নারী দিয়ে ফাঁদে ফেলে অর্থ উপর্জনসহ নানা অপকর্মের সাথে লিপ্ত পুলিশের হাতে আটক লিপু ও সোহাগ। অনেকে বলছেন এরা হচ্ছে চুনোপুটি রাঘোব বোয়ালরা আছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। থানার সাবেক ওসি পায়েল হোসেন জীবন খান লিপুর ছবি থানা অভ্যান্তরে টাঙ্গিয়ে দিয়ে দালাল হতে সাবধান কথাটি লেখার কিছু দিন পরেই ওসির নারী নিয়ে একটি ভিডিও স্যোসাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। সে সময়ে অনেকেই বলেন, জীবন খান লিপু ও তার সহযোগীরা চক্রান্ত করে ওসি পায়েলকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে চৌগাছার এক শিক্ষককে অনুরুপ ভাবে নারী দিয়ে ফাঁসনো হয় যে ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর পরই ২৮ জানুয়ারী এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে চাঁদা আদায় সময়ে ওই চক্রের দুই সদস্য আটক হয় পুলিশের হাতে। এরপর ৩০ তারিখে আটক হয় জীবন খান লিপু ও সোহাগ হোসেন। আটককৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে চক্রের মুল হোতা এবং নারী সদস্যদেরকেও আটক করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।