সংসদে আইন পাশ ছাড়া এদেশে ইসলাম কায়েম হবে না-অধ্যাপক মজিবুর রহমান

মোঃ সোহেল রানা, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, জাতীয় সংসদে আইন পাশ করা ছাড়া এদেশে ইসলাম কায়েম হবে না। আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এ আইন বাস্তবায়ন সম্ভব।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মাঠে কর্মী সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কোনো জুলুমবাজ সরকার, সুদি সরকার, জেনা-ব্যাভিচারের সরকারকে আর এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। আপনাদের ফরিদগঞ্জ থেকে এমন একজনকে নির্বাচিত করতে হবে যাতে করে জাতীয় সংসদে গিয়ে সুদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে এবং তিনি সেখানে গিয়ে যাকাতভিত্তিক অর্থনীতির পক্ষে আওয়াজ তুলবে। জান্নাতে যেতে হলে ঈমান হতে হবে পূর্ণ।আমাদের আখেরাতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা টাকার গোলাম না হয়ে আল্লাহ্র গোলাম হবো। আমরা আল্লাহ্র গোলামী করার জন্য জীবনটা ব্যয় করে দেবো।
তিনি আরও বলেন, জনগণের আস্থা ধরে রাখতে নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা উচিত। তবে সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপণ চলবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা আর অন্যায়ের প্রতিরোধ করতে হবে। এমন একটি সরকার নির্বাচিত করতে হবে যারা সুদের পরিবর্তে যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ইসলামী এবং আধুনিক শিক্ষার সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে।
আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। ২০১৪ সালে বিনা ভোটের সংসদ কায়েম করেছে। ২০১৮ সালে রাতের ভোট উপহার দিয়েছে। ২০২৪ সালের ডামি ভোটের সরকার গঠন করেছে। জামায়াত নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়ে তারা বাকশাল কায়েমের পথ ধরেছে। একটি দল যদি আরেকটি দলকে নিষিদ্ধ করে সেটা কি গণতন্ত্র নাকি স্বৈরতন্ত্র তিনি এই প্রশ্ন রাখেন। সরকারি অফিসারদের অধিকাংশই পতিত সরকারের দোসর ছিল । এদের হাতে নির্বাচন ছেড়ে দিলে সঠিকভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা যাবে না। তাই আগে সংস্কার করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে। তবে তা ন্যূনতম সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে
উপজেলা আমীর মোঃ ইউনুছের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সেক্রেটারী সাখাওয়াত হোসেন ও পৌরসভা সেক্রেটারী ইমরান হোসাইনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- চাঁদপুর জেলা জামাআতের আমীর বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, জেলা নায়েবে আমীর মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, জেলা সেক্রেটারী শাহাজান মিয়া। এছাড়াও জামাআতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।