পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে শ্যামনগরে ভিজিএফ চাল পাবে ১৩ হাজার পরিবারের উর্দ্ধে

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অতিদরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থ ব্যক্তি/পরিবার ভিজিএফ চাল পাবে ১৩ হাজার ৩৩৩ পরিবার। ঈদের পূর্বে এসকল চাল বিতরণ কার্যক্রম সমাপ্ত হবে বলে জানা যায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে প্রকাশ শ্যামনগর পৌরসভা বাদে অন্য ১১টি ইউনিয়নে চাল পাবেন অতিদরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবার।
ইউনিয়ন অনুযায়ী ভিজিএফ কার্ডের সংখ্যা ও বরাদ্ধকৃত চালের পরিমান হল ভূরুলিয়া ইউপির কার্ডের সংখ্যা ৮৭৯টি, বরাদ্ধকৃত চাল ৮.৭৯০ মেট্রিকটন, কাশিমাড়ী ইউপির কার্ডের সংখ্যা ১২৫২টি,বরাদ্ধকৃত চাল ১২.৫২০ মেট্রিকটন, নুরনগর ইউপির কার্ডের সংখ্যা ৮৯৯টি,বরাদ্ধকৃত চাল ৮.৯৯০ মেট্রিকটন, কৈখালী ইউপির কার্ড সংখ্যা ১৩৫২টি, বরাদ্ধকৃত চাল ১৩.৫২০ মেট্রিকটন, রমজাননগর ইউপির কার্ড সংখ্যা ১১১২, বরাদ্ধকৃত চাল ১১.১২০ মেট্রিকটন, মুন্সিগঞ্জ ইউপির কার্ড সংখ্যা ১৪৬৫টি, বরাদ্ধকৃত চাল ১৪.৬৫০ মেট্রিকটন, ঈশ^রীপুর ইউপির কার্ড সংখ্যা ১১৮৫টি,বরাদ্ধকৃত চাল ১১.৮৫০ মেট্রিকটন, বুড়িগোয়ালিনী ইউপির কার্ড সংখ্যা ১২৭২টি, বরাদ্ধকৃত চাল ১২.৭২০ মেট্রিকটন, আটুলিয়া ইউপির কার্ড সংখ্যা ১৩৭৩টি, বরাদ্ধকৃত চাল ১৩.৭৩০ মেট্রিকটন, পদ্মপুকুর ইউপির কার্ড সংখ্যা ১২১৯টি, বরাদ্ধকৃত চাল ১২.১৯০ মেট্রিকটন, গাবুরা ইউপির কার্ড সংখ্যা ১৩২৫টি, বরাদ্ধকৃত চাল ১৩.২৫০ মেট্রিকটন। এছাড়া আরও ০৪ জন কার্ডধারী দুই ইউনিয়নের মধ্যে পড়ায় চাল পাবেন ০৭ মেট্রিকটন। সর্বমোট ভিজিএফ কার্ডধারী সংখ্যা হল ১৩ হাজার ৩৩৩ জন এবং বরাদ্ধকৃত চাল হল ১৩৩.৩৩০ মেট্রিকটন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন খান জানান, উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। প্রত্যেকটি ইউপিতে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ চাল অবশ্যই ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ চাল পাবেন না। ইউনিয়ন/পৌরসভা ভিজিএফ কমিটি কর্তৃক প্রকাশ্য সভায় বর্ণিত তালিকা প্রণীত ও প্রত্যায়িত হতে হবে। ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দুঃস্থ/অতিদরিদ্র ব্যক্তি/পরিবারকে সহায়তা প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে যে পরিবারে উপার্জনশীল কোন ব্যক্তি/সম্পদ নাই, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধি, যে পরিবার মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির উপর নির্ভরশীল।যে পরিবার প্রাকৃতিক দূর্যোগের শিকার হয়ে চরম অর্থ সংকট ও খাদ্য সংকটে পড়েছে। এছাড়া আরও অনেক গুলো শর্তাবলী রয়েছে বলে জানা যায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন পবিত্র ঈদুল আযহার পূর্বে চাল বিতরণ কার্যক্রম সমাপ্ত করতে হবে। প্রত্যেক পরিবার/ব্যক্তি মাথাপিছু ১০ কেজি করে চাল পাবেন।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন বর্তমানে ভিজিএফ চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছে এবং একদিনের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। পবিত্র ঈদুল আযহার পূর্বে ভিজিএফ চাল পাওয়ায় অতিদরিদ্র ব্যক্তি রোমেছা বেগম খুশি বলে জানান।