সারাদেশ

ঈদের শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে শার্শার- সাতমাইলে পশু হাট

জাকির হোসেন, শার্শা প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদ-উল আযহা (কুরবানি) ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দক্ষিণ বঙ্গের সব চেয়ে বড় যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুহাট। কুরবানির গরু ও ছাগল কিনতে দূর দূরন্ত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে এই হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারী গরু ব্যবসায়ী (বেপারীরা) এ পশুহাট থেকে পছন্দমত গরু ও ছাগল কিনে স্ব স্ব এলাকার হাটে পশু সরবরাহ করে থাকেন।
বৃহস্পতিবার ৫জুন দুপুরে সাতমাইল পশুহাটে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে হাজার হাজার গরু ছাগল উঠেছে এই বাজারে। অনেক ধরনের গরু ও ছাগল সেই সাথে ক্রেতা ও বিক্রেতা। সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার দুদিন বসে এই হাট। সকাল ৮টার পর থেকে বেলা ১২টা ১ টার মধ্যে বাজার ভরে যায় গরু ও ছাগলে। সেই সাথে মহিষ ও ভেড়াও দেখা যায়। ঈদের বাজার ধরতে স্থানীয় ছোট ছোট খামারিরা তাদের পোষা গরু ও ছাগল বিক্রি করতে এসে অনেকে কাঙ্খিত মূল্য না পেয়ে অখুশী। আবার অনেকে ন্যায্য মূল্য পেয়ে বেজায় খুশী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নানা সাইজের নানান ধরনের হাজার হাজার গরু। ক্রেতারাও তেমনি তাদের পছন্দের গরু দেখে ক্রয় করছে। অনেকে গরু পছন্দ করলেও মূল্য নিয়ে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে বলে জানান। যে কারণে অনেকে ছোট ছোট গরুর প্রতি বেশি ঝুঁকছে। বাজারে অনেক বড় বড় গরু উঠলেও বড় গরুর ক্রেতা কম।তবে ছাগল ও ভেঁড়ার ক্রেতা সন্তোষজনক।
ঢাকা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী কবির উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অনেক বছর ধরে এই পশু হাট থেকে গরু ক্রয় করে তার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে। অনেক লাভও হয় তার।
তিনি আরও জানান, এ হাটে এবার গরুর অনেক দাম হাঁকা হচ্ছে। তার জন্য গরু কেনায় সমস্যা হচ্ছে, বেপারী ও খামারিরা তাদের গরুর দাম বেশি বলায় বেচাকেনা অনেক কম। এ জন্য তিনি বেশি গরু কিনতে পারেননি বলে জানান।
গরু কিনতে আসা বড় আঁচড়া গ্রামের ডা, শফি বলেন, ঈদের সময়ে একটু বেশি দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি। তবে তুলনামূলক ভাবে এ বছর দামটা একটু বেশি।
হাটে গরু বিক্রির জন্য আসা খামারিরা জানান, এ বারের কুরবানির ঈদে বড় গরু বিক্রি কম হচ্ছে। সব ক্রেতাদের ছোট গরুর প্রতি চাহিদা বেশী। আমরা খামারিরা যারা বড় গরু লালনপালন করেছি এ ঈদে বিক্রির জন্য সে গরু গুলায় লাভের চেয়ে লস হবে বলে জানান।
 উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাক্তার তপু কুমার সাহা জানান, শার্শায় মোট=১,১৩১টি ছোট বড় খামার আছে। এইসব খামারে কুরবানির জন্য ৩ হাজার ৭শত ১০টি গরু, ৯৪ টি মহিষ ও ১০ হাজার ৩১২টি ছাগল ও ৯৪ টি ভেঁড়া, প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর শার্শায় কুরবানীর চাহিদা পশুর সংখ্যা ১২ হাজার ৭২৬ টি। তবে শার্শা উপজেলায় কুরবানির চাহিদা মেটানোর পর ১ হাজার ৫০০ টি পশু বাড়তি থাকায় তা বাইরের এলাকায় বিক্রি করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ না করলে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবে। এজন্য সীমান্তে ঈদের সময় কড়া নজরদারির জন্য বিজিবি’র প্রতি আহ্বান জানান#

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like

সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,
সারাদেশ

আইনপুর গ্রামে পরিতোষ , সন্তোষ বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে দুর্ঘটনা ঘটে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আইনপুর গ্রামের পরিতোষ সূত্রধর ও সন্তোষ সূত্রধর বাড়িতে আগুনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার ০৭/০৮/২৪ ইং