ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন জীবা আমিনা আল গাজী।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি-২ (নলছিটি-ঝালকাঠি সদর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন রাজপথের ত্যাগী ও সংগ্রামী নেত্রী জীবা আমিনা আল গাজী। তাঁর সংগ্রাম, সাহসিকতা এবং দলীয় নিষ্ঠা এ অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁকে এক অনন্য অবস্থানে এনে দিয়েছে।
বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়নের সময় জীবা আমিনা আল গাজী অকুতোভয়ভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এবং সামনের সারিতে থেকে স্বৈরাচার হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু সাহসিকতার পরিচয়ই দেননি, বরং সেই সময় আশাহত নেতাকর্মীদের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন জীবা আমিনা আল গাজী। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একাধিক বাধা, হামলা,লাঞ্ছনা ও ভয়ভীতির মধ্যেও তিনি নির্বাচনী মাঠে থেকে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন। এ সময় তাঁর সাহসী অবস্থান দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
বর্তমানে তিনি ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ত্যাগ তাঁকে এ আসনে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর প্রতি দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।
জীবা আমিনা আল গাজী জানিয়েছেন, “ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির হারানো জয়ফল ফিরিয়ে আনা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে আমি সবসময় মাঠে আছি এবং থাকব।”
উল্লেখ্য, বিএনপি এই আসনে সর্বশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমির হোসেন আমু বিজয়ী হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দলীয় নেতাকর্মীদের মতে, জীবা আমিনা আল গাজীর মতো সাহসী ও ত্যাগী নেতৃত্বই বিএনপিকে এ আসনে আবারও এই ঝালকাঠি ২ আসনে বিজয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তাঁর সংগ্রামী রাজনৈতিক যাত্রা এবং ত্যাগের ইতিহাস ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির জন্য এক উজ্জ্বল সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে এসেছে। নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, আগামী নির্বাচনে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন পুনরুদ্ধারের অভিযানে।