ভোলা সদর হাসপাতালের ড্রেনের পাশে মিললো নবজাতক শিশুর মৃতদেহ

মোঃ রাফসান জানি, ভোলা:
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের পিছনের ড্রেনের পাশে মিললো এক নবজাতক শিশুর মৃতদেহ।
রবিবার (২২ জুন) সকালে হাসপাতালে আসা রোগীরা নবজাতক শিশুর মৃতদের দেখাতে পায়। এতে জানাজানি হলে হাসপাতালে ভিড় জমায় উৎসবমুখর জনতা শিশুটিকে দেখতে।এ ঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সচেতন মহল।
হাসপাতালে থাকা অন্যান্য রোগীর স্বজনরা জানান, এরকম নিষ্ঠুর কাজ যে করেছে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। এটি একটি জঘন্যতম কাজ শিশুটিকে এভাবে ফালানো ঠিক হয়নি, যদি শিশুটি মৃত ভূমিষ্ঠ হয়ে থাকে তাহলে বাড়িতে নিয়ে কবর দেওয়া উচিত ছিল।
এ বিষয়ে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডাঃ সুরাইয়া ইয়াসনূর বলেন, রেহানা নামের রোগীকে ফোন দেই এবং তার কাছ থেকে বাচ্চার বিষয়ে জানি, তার স্বামী মিজান জানায় মৃত শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় নিচে রেখে তার মা গাড়ি ভাড়া আনতে যায় গইনী বিভাগে তার কাছে, এসে আর শিশুটিকে খুঁজে পাইনি বলে জানান।রেহানাকে হাসপাতালে ভর্তির সময় তারা তথ্য গোপন রাখে স্বামীর নাম বিল্লাল দেয় এবং সমস্যার কথাও গোপন রাখেন।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান রুস্তম বলেন, ভোর রাতে পেটে ব্যথা নিয়ে রেহানা(২০) নামের এক রোগী তথ্য গোপন রেখে মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি হন, পরবর্তীতে টয়লেটে গেলে সেখানে মৃত বাচ্চা প্রসব করেন। পড়ে সে বাচ্চা পলিথিনে মুড়িয়ে রাখেন, মহিলা সার্জারী বিভাগের কর্তব্যরত সেবিকা রোগীর পরনে থাকা কাপড়ে ব্লাড দেখতে পায়, জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন পেটে তাদের বাচ্চা ছিল এবং বাচ্চা নষ্ট করার জন্য কিট খেয়েছে, তাই পেট ব্যাথা হয়েছে বলে হাসপাতাল এসে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তাকে গাইনি ওয়ার্ডে নিয়ে গাইনি চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয় এবং ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। বাচ্চাটিকে সকাল বেলা বাচ্চার দাদি নিয়ে যায় কিন্তু বাড়িতে না নিয়ে হসপিটালে ড্রেনে ফেলে রাখে। এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশ এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।