দেবীগঞ্জে স্ত্রী মুন্নী ও তার পরকীয়া প্রেমিক হেলালের নামে স্বামীর মামলা

একেএম বজলুর রহমান,পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে নিজের স্ত্রী সাবানা খাতুন মীম ও তার পরকীয়া প্রেমিক হেলাল উদ্দিনের নামে মামলা করেছেন তার স্বামী আব্দুল খালেক।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের শিশাডাংগা এলাকার শাহীন ইসলামের মেয়ে সাবানা খাতুন মীমের বিয়ে হয় ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর। দুই লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে দাম্পত্য জীবন পালন করা অবস্থায় তাদের সংসারে খুশিমনি (৬) ও রোজামনি (২মাস) বয়সের দুটি সন্তানের জম্ম হয়।
আব্দুল খালেক হেলাল উদ্দিন ও মুন্নী বেগমের নামে আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ২।
মামলাটি দায়ের করার পর আদালত শালডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম ফরিদকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত করার করার জন্য দু’পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পরে মামলার বাদী পক্ষ হাজির হলেও আসামী পক্ষ হাজির হননি।
চেয়ারম্যানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদীর অনুপস্থিতিতে হেলাল উদ্দিন আব্দুল খালেকের বাড়িতে এসে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও ২ লক্ষ টাকা মূল্যের গহনাসহ মুন্নী আক্তার নিয়ে পালিয়ে যায়।
সংসার করা কালীন কয়েক বছর মীম ভালো ভাবে চললেও পরবর্তীতে সাবানা খাতুন মীম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। স্বামী আব্দুল খালেক বার বার তার স্ত্রী সাবানা খাতুন মীমকে পরকীয়া থেকে বের হয়ে আসতে বলেন। মীমকে তার স্বামী আব্দুল খালেক, দেবর রমজান আলী, শ্বশুর মোহাম্মদ আলী সংসার বাঁচাতে ও মান সম্মান বাঁচাতে ভালো হতে বলেন। কিন্তু তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে মীম পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন।
মীমের উকিল শ্বাশুড়ি জানান, মীমের দুটি সন্তান রয়েছে। তাদের সংসার বাঁচাতে তাকে পরকীয়া সম্পর্ক না করার জন্য বার বার অনুরোধ করার পরেও তাকে ফেরাতে পারিনি।
স্থানীয়রা জানান, সাবানা খাতুন মীমের সাথে একাধিক ছেলের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এলাকার সবাই জানে মীমের পরকীয়ার কাহিনী।
আব্দুল খালেক জানান, মীমকে একাধিক বার পরকীয়া সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে বললেও সে আমার কথা শুনেনি। আমাদের সবার অগচরে বাড়িতে থাকা নগদ দেড় লক্ষ টাকা, মূল্যবান কাপড় চোপড় ও ঘরে থাকা সব গহনা নিয়ে সাবানা খাতুন মীম একই এলাকার হেলাল উদ্দিনের সাথে গত বছরের ২১ ডিসেস্বর পালিয়ে যায়। আমরা মীমের বাবার বাড়ি, আত্বীয় স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোজাখুজি করার পরেও তাকে পাইনি।
এঘটনায় আমি হেলাল উদ্দিন ও সাবানা খাতুন মীমের নামে পঞ্চগড় আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। ঘটনায় হেলাল উদ্দিন জেলহাজতেও ছিলেন দীর্ঘদিন।
আব্দুল খালেকের বাবা মোহাম্মদ আলী জানান, আমার ছেলের বউ মীমের কারনে আমাদের মান সম্মান সবই শেষ হয়েছে। তার কারনে সমাজে আমরা মুখ দেখাতে পারছিনা।
খালেকের মাতা জানান, ছেলের বউ যে আমাদের মান সম্মান এভাবে নষ্ট করে দিবে তা আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। এমন বউ যেন কারো সংসারে না আসে।