ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে কম্পিউটার ল্যাবে নাচের ভিডিও ভাইরাল : অধ্যক্ষকে করানো হলো জোরপূর্বক পদত্যাগ

মো:হামিদুজ্জামান জলিল জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শোয়াইব নগর কামিল মাদ্রাসার কম্পিউটার ল্যাব কক্ষে ট্রেনার সমীর দাসের সাথে প্রশিক্ষণার্থী তিন নারীকে হিন্দী গানের তালে নৃত্যের ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওটি ধারণ করা ছিল ২৪ জানুয়ারি। ভিডিও ফুটেজ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় ও সুশীল সমাজের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৬ জানুয়ারি সকাল থেকে মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ শুরু করে । এক পর্যায়ে দুপুরের সময় তারা অধ্যক্ষের কক্ষে দরজা আটকে তাদের হাতে থাকা পদত্যাগপত্রে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদাকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। জানা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “হার পাওয়ার প্রকল্প, প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন ” প্রকল্পের আওতায় পাঁচ মাসের জন্য প্রাইমেসি ইমপোর্টেড লিমিটেডকে সরকারি বিধি মোতাবেক ১০ হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দেন মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা। ২ টি ব্যাচে মোট ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। মাদ্রাসাটির একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মাদ্রাসা কোনো নাচ গানের জায়গা নয়, এখানে কেনো নাচ-গান হবে? আর সেই সুযোগটাই বা কে বা কারা তৈরি করে দিয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি এবং অধ্যক্ষের অপসারণ চাই।
শোয়াইব নগর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কম্পিউটার ল্যাবে এ ধরনের অশ্লীল কাজের ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। এ ধরনের ঘৃণিত কাজের প্রতিবাদ আমিও জানাই।এর সাথে আমার প্রতিষ্ঠানের যদি কেউ জড়িত থাকেন তার বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে ব্যবস্থা। ঘটনাটি আমি আমার অনুষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি স্যারকে জানিয়েছি।এরই মধ্যে মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্র পদত্যাগ পত্র লিখে আমাকে দিয়ে জোর করে তাতে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি। সব পক্ষকে ইতিমধ্যে ডেকেছি। বসে তাদের কথা শুনে দেখি। নিশ্চয়ই ভালো একটি সমাধান হবে। শোয়াইব নগর কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সাথে কম্পিউটার ল্যাবে নাচের ভাইরাল ভিডিও এবং অধ্যক্ষকে জোরপূর্ব পদত্যাগ করানোর ব্যাপারে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।