ঈদ উদযাপনে কুয়াকাটা সৈকতে লাখো পর্যটক

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ- পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত দীর্ঘ এক মাস পর্যটকশূন্য থাকার পর ঈদ উপলক্ষে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সৈকতে লাখো পর্যটক ভিড় করেছেন ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতে পর্যটকদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত পরিবেশ। কেউ সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ করছেন, কেউবা প্রিয়জনের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলছেন। আবার অনেকেই সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সমুদ্রের ঢেউ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকে বেঞ্চে বসে সময় কাটাচ্ছেন।
কুয়াকাটার ক্র্যাব আইল্যান্ড, চর গঙ্গামতি, ঝাউবন, তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন ও শুটকি পল্লিসহ সব পর্যটন স্পটে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি দেখা গেছে। পর্যটকদের আনাগোনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। অধিকাংশ হোটেল-মোটেল আগেই বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ঢাকার জিনজিরা থেকে আসা পর্যটক তৈয়ব হোসেন বলেন, “মঙ্গলবার সকালে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। হোটেলে উঠার আগেই সৈকতে চলে এসেছি। স্নিগ্ধ সকালে দখিনা হাওয়া ও ছোট ছোট ঢেউ আমাদের মুগ্ধ করেছে।”
সাভারের ফুলবাড়িয়া থেকে আসা শাহেদ-ইয়াসমিন দম্পতি জানান, “সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও দখিনা হাওয়া ও সমুদ্রের ঢেউ এক অনন্য অনুভূতি এনে দিয়েছে। ঈদের ছুটির প্রথম দিনে কুয়াকাটা ভ্রমণ স্বার্থক হয়েছে।”
সৈকতলাগোয়া প্রসাধন সামগ্রীর দোকানি সুলতান আকন বলেন, “গতকাল পর্যটকদের আনাগোনা ছিল, বিক্রিও ভালো হয়েছে। আশা করছি আজ আরও বেশি পর্যটক আসবে।”
ভ্রাম্যমাণ আচার বিক্রেতা মোসলেম মিয়া জানান, “রমজানে পর্যটক ছিল না। তবে এখন পর্যটক আসতে শুরু করেছে, বিক্রিও ভালো হচ্ছে। আশা করছি আজ আরও বেশি বিক্রি হবে।”
পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, “নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরাও কাজ করছেন। আশা করছি, পর্যটকরা নির্বিঘ্নে কুয়াকাটা ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।”