ভারত থেকে ঈশ্বরদীতে আনা ‘বগি ব্রেক ভ্যান’ পরিদর্শন করলেন সরকারি রেল পরিদর্শক
সাব্বির আহমেদ(পাবনা জেলা প্রতিনিধি)
ভারী মালামাল ও পণ্য পরিবহনের জন্য ভারতের থেকে আমদানি করা ‘বগি ব্রেক ভ্যান’ পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে পরিদর্শন করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) ফরিদ আহমেদ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনের পশ্চিম ইয়ার্ডে রাখা ‘বগি ব্রেক ভ্যান’ কোচগুলো পরিদর্শন করেছেন।
পরে ‘বগি ব্রেক ভ্যান’ রেলওয়ে ইঞ্জিন দিয়ে চালিয়ে দেখা হয়, ট্রেনের বগি ভ্যানগুলো সচল রয়েছে কি না? পরে সৈয়দপুরের রেলওয়ের কারখানা থেকে যান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলাচলের উপযোগী হলে ওই ‘বগি ব্রেক ভ্যান’ দিয়ে পণ্য পরিবহন শুরু হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক সংগ্রহের প্রকল্প পরিচালক বোরহান উদ্দিন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ, পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম সোহান, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশীষ কুমার মণ্ডল, বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট (এসএস) মহিউল ইসলাম, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট রেজওয়ান আহমেদ, রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান।
পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য ৩২০টি ‘বগি ব্রেক ভ্যান’ ট্রেনগুলো আমদানি করা হয়েছে। ১১টি লটে ৩০০ বগি ইতোমধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশ এসে পৌঁছেছে। বাকিগুলোও শিগগিরই এসে পৌঁছাবে। পরবর্তীতে এগুলো সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ধীরে ধীরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে যান্ত্রিক কোনো ক্রটি আছে কি না? তা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে চলাচল করানো হবে।
জিআইবিআর ফরিদ আহমেদ জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ‘বগি ব্রেক ট্রেন’ -গুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। লোকোমোটিভ রেলওয়ে ইঞ্জিন দিয়ে চালিয়ে যাচাই-বাছাই সন্তোষজনক। পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দ্রুতই দেওয়া হলে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অনুমতি দেবে। অতঃপর পণ্য পরিবহন, ভারী মালপত্র আনা নেওয়ার জন্য ব্রেক ট্রেন ব্যবহার করা হবে।
ডিআরএম শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ব্রেক ভ্যান বগিগুলো শুধুই ব্রডগেজ অর্থাৎ পশ্চিমাঞ্চল রেলরুটের জন্য ব্যবহার করা হবে। স্বল্প খরচে, খুব কম সময়ের মধ্যে নিরাপদে রেলওয়েতে দেশের সবরকম মালামাল পৌঁছে দেওয়ার কাজে বগিগুলো ব্যবহার করা হবে। এতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়েতে রাজস্ব বাড়বে।