জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড়

আসাদ মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
দেশ জুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। পৌষের কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছেন সারা দেশের মত মানিকগঞ্জের মানুষ। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপাকে শ্রমজীবী ও নিন্ম আয়ের মানুষ। দেখা দিয়েছে শীতজনিত নানান রোগ। আবহাওয়া অফিস বলছে, শীতের তীব্রতা আরো ৬ থেকে ৭ দিন থাকতে পারে।
মাঠ-ঘাট, সড়ক ও জনপদ কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে। ভোরে কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। শীত বস্ত্র না থাকায় খরখুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় জনজীবন অনেকটাই থমকে গেছে। এমন অবস্থায় ঠান্ডা থেকে বাঁচতে উষ্ণতার জন্য গরম পোশাকের দিকে ছুটছে মানুষ। গত কয়দিন ধরেই মানিকগঞ্জের ফুটপাত থেকে শুরু করে সব ধরনের শীতের পোশাকের দোকানে মানুষ ভিড় করছে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
মার্কেট ও ফুটপাতের দোকান ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দোকানে কম দামে বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটার, চাদর বেশি বিক্রি করছেন তারা। যে কারণে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। শীতের পোশাকগুলো বিদেশ থেকে বেল আকারে আসে। আবার দেশের অনেক গার্মেন্টস থেকে স্বল্পমূল্যে গরম পোশাক নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। স্বল্পমূল্য হওয়ায় নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চমধ্যবিত্ত ক্রেতাদের চাহিদা থাকে এসব কাপড়ের প্রতি।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হাটে জ্যাকেট, সোয়েটার, শিশুদের উষ্ণ পোশাক নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক। নারায়ণগঞ্জ, বঙ্গ বাজার থেকে শীতের পোশাক এনেছেন। প্রতি পিস ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে জ্যাকেট বিক্রি করছেন। বর্তমানে প্রতি হাটে ১ থেকে ১৫০ পিসের বেশি বিক্রি হচ্ছে তার।
উপজেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তর ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষজন।