বন ছাড়া জীববৈচিত্র্য তার অস্তিত্ব টিকে রাখতে পারে না-ড. শেখ আব্দুর রশীদ

রাজন হোসেন তৌফিকুলঃ
মন্ত্রীপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ বলেছেন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনের গুরুত্ব অপরিসীম। বন ছাড়া জীববৈচিত্র্য তার অস্তিত্ব টিকে রাখতে পারে না।
লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনটি অনেক সমৃদ্ধ মনে হলো। এখানকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। প্রকৃতিকে তার নিজের মতো রাখতে হবে। যেখানেই মানুষের হাত লেগেছে, সেখানে প্রকৃতি নষ্ট হয়েছে। -মন্ত্রীপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ
তিনি বলেন, লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনটি অনেক সমৃদ্ধ মনে হলো। এখানকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। প্রকৃতিকে তার নিজের মতো রাখতে হবে। যেখানেই মানুষের হাত লেগেছে, সেখানে প্রকৃতি নষ্ট হয়েছে। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারও প্রকৃতি রক্ষা করতে চায়। এ কারণে লাঠিটিলা বনে সাফারি পার্ক প্রকল্প করার উদ্যোগ সরকার বাতিল করেছে।
দেশের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ আরো বলেন, প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের পাশাপাশি নিজেদের গাছ লাগানোর প্রতি জোর দিতে হবে। বনাঞ্চলের গুরুত্ব ও উপকারিতা বিষয়ে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করতে হবে। বনভূমির জন্য হুমকিস্বরূপ কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। সরকারি-বেসরকারিভাবে বনভূমি সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা বন ঘুরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন। এর আগে তিনি শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুই দিনের সরকারি সফরে মৌলভীবাজারে আসেন।
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে সম্প্রতি অগ্নিকান্ডের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশের বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, কমিশন সুপারিশ করেছে। তার মানে এটাই চূড়ান্ত নয়। আরও পর্যালোচনা হবে। সরকার কী চায়, না চায় সেটাও দেখতে হবে। এখনই এ বিষয় নিয়ে কারোর ছটফট করার কিছু নেই।
লাঠিটিলা বন পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সর্বিক) আব্দুস সালাম চৌধুরী, জুড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বাবলু সূত্রধর, মৌলভীবাজারের এনডিসি রতন কুমার অধিকারী, বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক নাজমুল আলম, জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া, প্রথম আলো জুড়ী প্রতিনিধি কল্যাণ প্রসূন চম্পু, জুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লাঠিটিলা বন থেকে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।