ফেনীর পরশুরামে কিশোরীকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

ফেনীর পরশুরামে কিশোরীকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা।
মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী:
ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার মির্জানগরে কিশোরীকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় অভিযুক্ত মেহেদী হোসেনকে (৪৫) প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে পরশুরাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন কিশোরী মা লিমা আক্তার।মেহেদী হোসেন মনিপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।ঘটনার পর থেকে মেহেদী হোসেন পলাতক রয়েছে।মোবাইলে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে মধ্যম মনিপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলামকে (১৭) গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।সাইফুল ইসলাম কিশোরীর মায়ের দায়ের করা মামলার ২ নম্বর আসামী।জানা গেছে,শনিবার দুপুরে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুরে একটি ফাঁকা বাড়িতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয় দুই কিশোর-কিশোরী।এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।সেখানে দেখা যায়,ইউনিয়ন যুবদল নেতা মেহেদী হোসেন ওই কিশোরীকে বাধ্য করে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে।এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।পরে মেহেদীকে যুবদল থেকে বহিস্কার করা হয়।পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হোসেনকে অসামাজিক ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয়তা বাদী যুবদল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।গতকাল সোমবার রাতে জেলা যুবদলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোঃ আল-ইমরান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানা গেছে।চিঠিতে বলা হয়,দলীয় অভ্যন্তরীন তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আপনাকে যুবদলের সকল প্রকার পদ হতে অব্যহতি ও দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।উল্লেখ্য,গত শনিবার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে কিশোরীকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় অভিযুক্ত মেহেদী হোসেনকে (৪৫) প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে পরশুরাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন কিশোরীর মা আকলিমা আক্তার।ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার তৈরি হয়।এরপরই তৎপর হয় পুলিশ।ঘটনায় জড়িত মেহেদী হোসেনসহ জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।এদিকে রবিবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে পরশুরাম মডেল থানায় পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।মামলার অন্য আসামিরা হলেন-মেলাঘর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে ওমর ফারুক আরিফ (১৭),মনিপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মাঈন উদ্দিন সৈকত (১৭) ও মির্জানগর গ্রামের নাইমুল ইসলাম রাফি(১৭)।এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।কিশোরীর মা লিমা আক্তার মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন,আসামীরা জোরপূর্বক ভয়ভীতি ও ধমক দিয়ে আমার মেয়েকে নগ্ন হতে বাধ্য করে।মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার নগ্ন ভিডিও ও স্থির চিত্র ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরবরাহ ও প্রচার করে।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাকসুদ আহমেদ ২ নাম্বার আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে ঘটনার মূল হোতা এক নম্বর আসামী মেহেদী হোসেন মনিপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।ঘটনার পর থেকে মেহেদী হোসেন পলাতক রয়েছে অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের দুইটি টিম কাজ করছে।শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।
মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী
০১৮১৪৯৪৮০৬২