বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে গেলেন আইএসকনের ২১৭ তীর্থযাত্রী
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে গিয়েছেন আইএসকনের ২১৭ তীর্থযাত্রী।
শনিবার (২২ নভেম্বর-২৫) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় তারা তীর্থযাত্রার ভিসায় দেশত্যাগ করেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত্ত সংঘ (আইএসকন)-এর ভক্ত ২১৭ সদস্যের একটি দল বেনাপোল ইমিগ্রেশন পৌঁছালে তাদের পাসপোর্ট যাচাই-বাছাই শেষে ভারত প্রবেশের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন নিতাই দয়াল দাস ব্রম্মচারী (পাসপোর্ট নং এ০৩৫৮২২০১)।
সাভারের কাতলাপুরে অবস্থিত শ্রী শ্রী কানাইলাল জিউ বিগ্রহ মন্দির থেকে তাঁরা একযোগে যাত্রা শুরু করেন। প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিনের এই তীর্থ সফরকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
এর আগে ২০ অক্টোবর-২৫ তারিখে আইএসকনের শ্রী শ্রী কানাইলাল জিউ বিগ্রহ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নিতাই দয়াল দাস এবং আইএসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চরণ চন্দ্র দাস ভারতের হাই কমিশনারের কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে দুই মাস মেয়াদি ভিসা প্রদানের আবেদন জানান। চিঠিতে বলা হয়, নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে মোট ২৫২ জন ভক্তকে নিয়ে উত্তর ভারতের ৩০টিরও বেশি পবিত্র তীর্থস্থানে সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে মায়াপুর, নবরূপ, একচক্রা, বৃন্দাবন, রাধাকুন্ড, বর্ষানা, গোবর্ধন পাহাড়, নান্দগাঁও, গোকুল, কুশীনগর, হরিদ্বার, ঋষিকেশ, অযোধ্যা, কাশীধাম, পুরী ধাম, ভুবনেশ্বরসহ বহু পূণ্যস্থান।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ সফর ভক্তদের দীর্ঘদিনের সাধনার অংশ এবং গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্যবহ। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইয়ের পর উচ্চ কমিশন ভিসা অনুমোদন করে, যার পরই যাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম সাখাওয়াত হোসেন জানায়, সকালে তীর্থযাত্রার ভিসা নিয়ে আইএসকনের ২১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পৌঁছালে তাদের ভ্রমণসংক্রান্ত সব কাগজপত্র যাচাই শেষে ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পরে তারা ভারতে প্রবেশ করেন।
বাকি সদস্যরাও নির্ধারিত সময়ে সফরে যোগ দেবেন বলে আইএসকন সূত্রে জানা গেছে।

