বোরহানউদ্দিনে ঠিকাদারের ইন্ধনে রাতের আঁধারে ঘর উত্তোলন

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে প্রভাবশালী এক ঠিকাদারের ইন্ধনে রাতের আঁধারে জোরপূর্বক অন্যের জমিতে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার বোরহানউদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলার টবগী ইউনিয়নের টবগী গ্রামের মৃত ছেলামত মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। অভিযুক্তের নাম মো. নুরুল ইসলাম।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গেল ৭ বছর আগে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে টগবী মৌজার ২৪ শতাংশ জমি তিনি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পরপরই তিনি তা ভোগদখল করে আসছেন। এরপর গেল ৩ বছর আগে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম গংদের পুকুর থেকে টাকা দিয়ে মাটি ড্রেজিং করে তিনি ওই জমি ভরাট করেন। কিন্তু, তখনও কেউ এতে আপত্তি জানায়নি। এমনকি এলাকার কাউকেও কিছু জানানি, হঠাৎ করে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে নুরুল ইসলাম গংরা ওই ২৪ শতাংশের মধ্যে থাকা ৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক ভোগদখলের চেষ্টা চালায়। এরপর হঠাৎ করে গেল কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে তাঁরা জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। সকালে স্থানীয়রা দেখেন, ওই জমিতে দুই চালা একটি টিনের ঘর তোলা রয়েছে।
এলাকাবাসীরা বলছেন, এই জমি জাহাঙ্গীর আলমের বলে জানতেন তারা। এই জমি কখনোই কাউকে দাবী করতে শোনেননি।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের দাবি, তারা মাত্র ৮ শতাংশ জমি দখলে নিয়েছেন। এই ৮ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে তাঁরা পাবেন। এতদিন তাঁরা একই মৌজার জমি এওয়াজ বদল করে দখলে ছিলেন। এখন তাঁরা বাড়ির জমি দখলে নিবেন বলেই ৮ শতাংশ জমিতে ঘর তুলেছেন। তবে দিনের বেলায় নয়, রাতের আঁধারে চুরি করে ঘর তুলেছেন বলে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম গং।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত জেনে আসছি ক্রয় সূত্রে ওই জমির মালিক জাহাঙ্গীর আলম। অভিযুক্ত নুরইসলামের পুকুর থেকে টাকা দিয়ে মাটি কিনে জাহাঙ্গীর তার ক্রয় কৃত জমি ভরাট করেন। হঠাৎ করে একদল দুর্বৃত্ত রাতের আধাঁরে ওই জমিতে ঘর তুলেছেন। যা একদমই নিন্দনীয় কাজ।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে দুপক্ষকেই ওই জমিতে যেতে নিষেধ করেছি। আগামী ২৫ জানুয়ারি থানায় একটি সালিশি বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধ পুলিশ মিমাংসা করতে পারে না। তবে দু’পক্ষ বিচার মানলে সমাধান করে দেয়া যাবে। নইলে এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হবে। চুরি করে রাতের আঁধারে ঘর উত্তোলন করা অন্যায় কাজ।