ফেনীর সোনাগাজীতে প্রবাসীকে হয়নারীর অভিযোগ।

মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী:
ফেনীর সোনাগাজীতে আবুল হোসেন নামের এক প্রবাসীকে দফায় দফায় হামলা,মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে স্বয়ং তার ২য় স্ত্রী মিনু আক্তারের বিরুদ্ধে।প্রবাসী আবুল হোসেন দাবী করে বলেন,আমার প্রথম স্ত্রীর সম্মতিক্রমে ২০১২ সালে সোনাগাজীর সদর ইউনিয়নের চরখোয়াজ গ্রামের হামিদ আলী মাঝি বাড়ির জৈনক আবুল খায়ের মিয়ার কন্যা মিনু আক্তারকে বিয়ে করে ওমান চলে যাই বিদেশ যাওয়ার পর গত ১২ বছর সব ধরনের উপার্জনের সিংহভাগ ২য় স্ত্রী মিনু আক্তার ও তার বাবা(আমার শুশুর) আবুল খায়েরের একাউন্টে পাঠাতাম।দীর্ঘদিন প্রবাস থাকার কারনে মিনু তার ভগ্নিপতি ২ নং বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুর এলাকার বাসিন্দা বাচ্চু মিয়ার সাথে পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে আমার বাড়ি আসা বন্ধ করে দেয়।মাঝেমধ্যে এসে সে তার জিনিস পত্র নিয়ে যেত এতে আমার প্রথম স্ত্রী মিনুকে বাঁধা দিত না।আমি গত ২৮ অক্টোম্বর ২৩ ইং তারিখে বাড়ি আসার পর মিনুকে বার বার মোবাইলে কল দিয়ে আশার জন্য বলি সে আসে নাই।তার কিছুদিন পর জানতে পারি সে আমার জন্য গত ২৬ অক্টোম্বর ২৩ ইং অর্থাৎ বাড়ি আসার দুইদিন আগে একটি দেনমোহর ও যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করে।সে মামলায় পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে পরে আমি জামিনে এসে আমার আইনজীবী তার আইনজীবী বসে একটি আপোষনামা করে ২ লাখ টাকার উপর বিষয়টি মীমাংসা করি এবং দুই কিস্তিতে ২০+৩০ মোট ৫০ হাজার টাকা পরিশোধও করি।এরপর একাধিক বার চেষ্টা করেও তাকে আর পাইনি।গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হঠাৎ অজ্ঞাতনামা কিছু লোকজন এনে আমার প্রথম স্ত্রীকে জিম্মি করে ব্যাংক থেকে ঘরের কাজ করার জন্য উঠানো ১৫০০০০ টাকা,২ ভরি স্বর্ণ ও ওমানের আকামা সহ আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ একটি ব্রীফকেসের ভরে সন্ত্রাসী স্টাইলে নিয়ে চলে যায়। আমি সে সময় মাগরিবের নামাজ পড়তে পার্শ্ব মসজিদে ছিলাম পরে বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পেরে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা করার চেষ্টা করি কিন্তু মিনুর পরিবার আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকে হাত করে আমাকে মামলাটি করতে দেয়নি।এছাড়াও গত ২১ ডিসেম্বর ২৪ তারিখে আমার বাড়িতে আবার এসে ঘরের দরজা ও টিন কুপিয়ে,আমার স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে যায় সে কাউকে ভালো থাকতে দিবে না।আমি এখন কি করবো তা বুঝতে পারছি না।বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকার কিছু লোকজনের সাথে কথা বলে আবুল হোসেনের বিষয়টির অনেকাংশে সত্যতা পাওয়া গেছে।